আজকের শিরোনাম :

সুইস ব্যাংকের আমানত সম্পর্কে জানতে কৌশলপত্র তৈরি করছে বাংলাদেশ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২১, ১৭:৪৬

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশীদের আমানত সম্পর্কে জানতে কৌশলপত্র তৈরির চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। বৃহষ্পতিবার সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের পর আবারও নতুন করে আলোচনায় টাকা পাচারের প্রসঙ্গ।  ঐ প্রতিবেদনে দেখা যায়, এক বছরে সাড়ে ছয় শতাংশ কমেছে বাংলাদেশীদের আমানত।  

তারপরও এই অর্থ, দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয় সর্বোচ্চ।  অর্থনীতিবিদরা বলছেন, টাকা পাচারের বেশ কয়েকটি নতুন গন্তব্য তৈরি হওয়ায়, সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশীদের আমানত কমেছে।

নাম-লেনদেনের গতিবিধি সবকিছুই গোপন থাকে। তাই দশকের পর দশক, সুইস ব্যাংক হয়ে উঠেছে সব দেশের অবৈধ উপার্জনকারীর টাকা জমা রাখার নিরাপদতম গন্তব্য। বাংলাদেশও ব্যতিক্রম নয়।

বৃহষ্পতিবার প্রকাশিত ব্যাংকস ইন সুইজারল্যান্ড প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ২০২০ সালে দেশটির বিভিন্ন ব্যাংকে ৫৬ কোটি ৩০ লাখ ফ্রাঁ অর্থাৎ ... টাকা জমা করেছেন বাংলাদেশীরা। যা দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয় সর্বোচ্চ।

তবে এ অর্থের পুরোটাই পাচার নয় বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট।

এক দশকে সুইস ব্যাংকের বাংলাদেশীদের আমানত বেড়েছে ২৮৪ শতাংশ। যদিও গত তিন বছর ধরে এ পরিমাণ কমতির দিকে। অর্থনীতিবিদদের ধারণা, এই আমানত কমা মানেই, পাচার কমা নয়। বরং, বিশ্বজুড়ে সুইস ব্যাংকের একাধিক বিকল্প গন্তব্য পেয়েছে দুর্নীতিবাজরাও।

১৯৩৪ সালের সুইস ব্যাংকিং অ্যাক্ট অনুযায়ী, কোনো গ্রাহকের তথ্য প্রকাশ করতে পারতো না ব্যাংকগুলো। ২০১০ সালে ফরেন অ্যাকাউন্ট ট্যাক্স কমপ্লায়েন্স অ্যাক্ট কার্যকর করে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে, মার্কিন গ্রাহকদের বেশকিছু তথ্য দিতে বাধ্য হয় সুইস ব্যাংকগুলো।

দেখাদেখি, একই পথে হাটতে শুরু করে ইউরোপের দেশগুলো। তথ্য বিনিময় কাঠামো চুক্তি করেছে ভারতও। তার মানে, সুইজারল্যান্ডের ব্যাংক থেকে তথ্য পাওয়ার কোন না কোন উপায় অবশ্যই আছে।

২০১৩ সালে সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের কাছে বেশকিছু আমানতকারীর তথ্য চেয়েছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু তা পাওয়া যায়নি। 

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ