আজকের শিরোনাম :

ঋণখেলাপিদের পকেটে ১ লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা: অর্থমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২২:০৫

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ঋণখেলাপির সংখ্যা দুই লাখ ৩০ হাজার ৬৫৮ জন। ঋণখেলাপিদের কাছ থেকে অনাদায়ী টাকার পরিমাণ ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৬৬ কোটি টাকা। ঋণখেলাপি এ টাকার পরিমাণ বাংলাদেশের সর্বশেষ প্রণীত বাজেটের এক চতুর্থাংশেরও বেশি।
 
আজ বুধবার জাতীয় সংসদে বেগম পিনু খানের করা এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি ডাটাবেজে সংরক্ষিত সর্বশেষ গত জুন মাসের তথ্যানুযায়ী অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

একই সঙ্গে অর্থমন্ত্রী ব্যাংকভিত্তিক খেলাপি ঋণের পরিমাণ ও শীর্ষ ১০০ ঋণখেলাপির তালিকা জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিভিন্ন প্রকল্পের অনুকূলে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা থেকে প্রাপ্ত বৈদেশিক সাহায্যের আশ্বাসের পরিমাণ ছিল ৩৬১.৩৫ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ঋণের পরিমাণ ৩৬০ মিলিয়ন ডলার এবং অনুদানের পরিমাণ ১.৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বৈদেশিক সাহায্যের প্রাপ্তির (ডিসবার্সমেন্ট) পরিমাণ ছিল ১৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ঋণের পরিমাণ ১৮৫.৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং অনুদানের পরিমাণ ২.৪২ মার্কিন ডলার।

অর্থমন্ত্রী সংসদকে জানিয়েছেন, কৃষিঋণের সুদহার ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে ৯ শতাংশে নামানো হয়েছে। এর আগে এটি ১০ শতাংশ ছিল।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সারা দেশে বেসরকারি ব্যাংক থেকে কৃষকদের মধ্যে ১১ হাজার ৩১৬ কোটি টাকার কৃষি ও পল্লী ঋণ প্রদান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত অর্থাৎ এক মাসে সারা দেশে বেসরকারি ব্যাংকগুলো থেকে ৭৮৩ কোটি টাকা টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ প্রদান করা হয়েছে।

মো. আব্দুল মতিনের এক প্রশ্নের জবাবে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ২০১-১৮ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা দুই লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা এর মধ্যে ৯১ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। চলতি অর্থবছরের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা দুই লাখ ৯৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা।

আরেক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত সাত হাজার ৫৬৭ জন সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে এক হাজার ৫৮৮ জনের সার্টিফিকেট কোর্স সমাপ্ত করেছে এবং ২৬০ জনকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন ক্যাপিটাল মার্কেট (পিজিডিসিএম) কোর্স পরিচালনা করেছে।

মন্ত্রী জানান, পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষার্থে আইপিওতে ২০ শতাংশ কোটা প্রথা এবং বিনিয়োগকারীদের সহায়তার উদ্দেশ্যে ৯০০ কোটি টাকার ফান্ড গঠন করা হয়েছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, কর্মসংস্থান ব্যাংকের শাখা স্থাপন করার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণের কাছ থেকে আবদেন পাওয়া গেলে ব্যাংকের ব্যবসায়িক সম্ভাবনা পর্যালোচনাপূর্বক সংশ্লিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করে নতুন শাখা খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। স্থানীয় জনগণের চাহিদা ও বাস্তবতা পর্যালোচনা করে নীতিমালা অনুসরণ করে সংশ্লিষ্ট উপজেলা সদরে পর্যায়ক্রমে কর্মসংস্থান ব্যাংকের শাখা খোলা হবে।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ