আজকের শিরোনাম :

চট্টগ্রাম বন্দরে বেড়েছে কন্টেইনার জট

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২১, ১৩:১৪

ধীরগতির ডেলিভারির কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে বেড়েছে কন্টেইনার জট। রমজানকে সামনে রেখে আমদানি হওয়া ভোগ্যপণ্যের কন্টেইনার খালাস না নেয়ায় এই জট সৃষ্টি হয়েছে। পণ্য খালাস করতে না পেরে জাহাজগুলোকে বেশি সময় বহিঃনোঙ্গরে অবস্থান করতে হচ্ছে। ফলে কন্টেইনার প্রতি বাড়তি ভাড়া গুণতে হচ্ছে আমদানিকারকদের।

আগে প্রতিদিন বন্দর থেকে যে পরিমান কন্টেইনার খালাস হতো, এখন তা নেমেছে প্রায় অর্ধেকে। বন্দর ব্যবহারকারীদের ভাষায় স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন সাড়ে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টিইউএস কন্টেইনার ডেলিভারি এখন নেমেছে ৩ হাজারে। বন্দরের ধারণ ক্ষমতা প্রায় ৪৯ হাজার টিইউএস কন্টেইনার।

জাহাজ থেকে আমদানি পণ্যের কন্টেইনার ৪ দিন বন্দরের ইয়ার্ডে বিনা ভাড়ায় রাখার সুযোগ পান আমদানিকারকরা। ৪ দিন পর একটি কন্টেইনারের জন্য প্রথম সপ্তাহে প্রতিদিন ৬ ডলার, পরবর্তী সপ্তাহ প্রতিদিন ১২ ডলার ও ২১ দিন থেকে প্রতিদিন ২৪ ডলার হিসেবে ভাড়া দিতে হয় আমদানিকারকদের।

সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বাচ্চু বলেন, অনেক আমদানিকারককে দেখা যাবে তাদের কন্টেইনার অনেকদিন আটক থাকার ফলে এগুলা বন্দর থেকে নিতে যে টাকা দিতে হয় তা যোগাতেই হিমশিম খেয়ে যাবে। তাই এই মন্দার সময় তাদেরকে প্রণোদনা দিয়ে যথা সম্ভব দ্রুত এসব কন্টেইনার খালাস করা হোক।

কন্টেইনার জট কমাতে জরিমানার বিধান আরো এক সপ্তাহ পেছানোর কথা জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ সচিব ওমর ফারুক। তিনি বলেন, আমরা আমদানিকারক সবাইকে আহ্বান জানিয়েছি তারা যেন তাদের কার্গোগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে ডেলিভারি নেয়। যদি তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কন্টেইনারগুলো খালাস করে না নেয় তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে চারগুন পর্যন্ত পেনাল রেন্ট আরোপ করতে পারি।

জটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য। বেড়ে যাচ্ছে আমদানি পণ্যের দাম; সময়মতো কাঁচামাল না পাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। ফলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। 

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের পরিচালক নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন বলেন, এখানে যদি কন্টেইনারগুলো খালাস হতে না পারে সেক্ষেত্রে বহির্নোঙরে জাহাজগুলো অপেক্ষামান থাকে এর ফলে সেখানেও খরচ বেড়ে যায়। কারণ জাহাজের পেনাল্টি জাহাজ মালিককে পরিশোধ করতে হচ্ছে। এর সমাধানে বন্দর কর্তৃপক্ষের যেমন আন্তরিকতার প্রয়োজন তেমনি আমরা যারা এই বন্দরটি ব্যবহার করি আমাদেরও আরও আন্তরিক হতে হবে।

বন্দরের কার্যক্রম সপ্তাহের সব সময় সচল থাকলেও শুক্র ও শনিবার ব্যাংক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় পণ্যছাড় কমে যায়। বন্ধের দিন ব্যাংক ও কাস্টমসসহ গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলো সচল না থাকলে কন্টেইনার জট কমবে না বলে মনে করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ