আজকের শিরোনাম :

ভারত থেকে ৩০০ দোতলা বাস কিনছে বিআরটিসি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০১৮, ১২:৪৯

ভারতীয় মোটরগাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অশোক লেল্যান্ডের কাছ থেকে ৩০০ দোতলা বাস কিনছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি)। ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় (এলওসি-২) এসব বাস কেনা হচ্ছে। প্রতিটি বাসের দাম পড়ছে ৭২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। বাসগুলো কিনতে গতকাল মঙ্গলবার অশোক লেল্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত পরিবহন সংস্থাটি।

‘বিআরটিসির জন্য দ্বিতল, একতলা এসি ও নন-এসি বাস সংগ্রহ’ প্রকল্পের আওতায় এই ৩০০ বাস কেনা হচ্ছে। ৩০০টি দোতলা বাস, ১০ শতাংশ যন্ত্রাংশ ও সংশ্লিষ্ট অন্য সেবা বাবদ ব্যয় হচ্ছে ২৩৯ কোটি টাকা। চুক্তি অনুযায়ী, ডিসেম্বরের মধ্যে এসব বাসের প্রথম চালান বিআরটিসির বহরে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আগামী অক্টোবরের মধ্যে প্রথম চালানটি সরবরাহের অনুরোধ করেছেন।

৩০০টি দোতলা বাস কিনতে বিআরটিসির পক্ষে সংস্থাটির চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ভূঁইয়া ও অশোক লেল্যান্ড লিমিটেড, ইন্ডিয়ার পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ইন্টারন্যাশনাল অপারেশন বিভাগের গ্লোবাল হেড রাজীব সাহারিয়া চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়ক-মহাসড়কে ছোট ছোট গাড়ি অনেক সমস্যা তৈরি করে। বিশৃঙ্খলা তৈরি করে, দুর্ঘটনা ঘটায়। এমন পরিপ্রেক্ষিতে বিআরটিসির দোতলা বাসগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

তিনি আরও বলেন, সড়ক-মহাসড়কে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে মানুষের সচেতনতার অভাব। সড়কের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় আমরা মানসিক পরিবর্তন ঘটাতে পারছি না। আমাদের এই মানসিক অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, উন্নয়ন সহযোগিতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে উদিত হয়েছে। বাংলাদেশের সাথে ভারতের উন্নয়ন সহযোগিতা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরের বছরগুলোতে সামান্য থেকে শুরু করে আকার এবং আয়তনে বৃদ্ধি পেয়েছে। ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণচুক্তি বাস্তবায়নের সাথে সাথে বাংলাদেশ ভারতের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার হয়ে উঠেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ভারত থেকে ৩০০টি দোতলা বাস সংগ্রহ করছে বিআরটিসি। সংস্থাটির বহরে অশোক লেল্যান্ডের বাসগুলো যুক্ত হলে বাংলাদেশের গণপরিবহন ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে।

তিনি বলেন, ‘এ ঋণচুক্তিগুলোয় পরিবহন, সড়ক, রেল, বন্দর, বিমানবন্দর, বিদ্যুৎ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য ও কারিগরি শিক্ষার মতো বিভিন্ন পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।’

ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ঋণচুক্তিগুলো ছাড়াও ভারত শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানি, সংস্কৃতি, নগর উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেকগুলো অনুদান প্রকল্প গ্রহণ করছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম, ইফাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ টিপু, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান, বিআরটিসির পরিচালক (অপারেশন) হামিদুর রহমান প্রমুখ।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ