আজকের শিরোনাম :

করোনা মহামারি : ধনীরা আরও ধনী হয়েছে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২১, ১৫:২৫

করোনাভাইরাস মহামারিতে ভয়াবহ অর্থনৈতিক অসমতা দেখা দিয়েছে বিশ্বজুড়ে। সেই প্রভাব পড়েছে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও উন্নত জীবনের সহজলভ্যতার ওপর।

আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম তাদের এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানিয়েছে।

সংস্থাটি আরও বলছে, এই অসমতা তৈরি হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এবং যারা চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে তাদের মধ্যে।

‘অসম ভাইরাস’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে ত্রুটিযুক্ত এবং শোষণমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার তীব্র সমালোচনা করা হয়। সেখানে গেঁথে বসা বৈষম্য ও নিপীড়ন, পুরুষতন্ত্র এবং কাঠামোগত বর্ণবাদ, সাদা আধিপত্যে বদ্ধমূলতাকেই অবিচার ও দারিদ্র্যের মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

ওই রিপোর্টে উঠে এসেছে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্বব্যাপী বিলিয়নিয়ারদের সম্পদ ৩.৯ ট্রিলিয়ন বৃদ্ধি পেয়েছে।  বিশ্বের সেরা ১০ বিলিয়নিয়ারের সম্পদ ৫৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে এই সময়ে।

এই মহামারি এই সময়ে দেখা গেছে কোটি কোটি মানুষ তাদের চাকরি হারিয়ে চরম দারিদ্র ও ক্ষুধার শিকার হয়েছে। দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসরত মানুষের সংখ্যা ২০০ মিলিয়ন থেকে বেড়ে ৫০০ মিলিয়ন হয়েছে।

অক্সফামের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই মহামারি দেখিয়েছে যারা দৈনিক ২ থেকে ১০ ডলার খরচ করতে পারে তারাও দীনতার খুব কাছাকাছি রয়েছে। আর যাদের বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ রয়েছে তারা বাণিজ্যিক বিমান বন্ধ হয়ে গেলেও ব্যক্তিগত বিমানে ভ্রমণ করতে পেরেছে।

প্রতিবেদনে আরও উঠে এসেছে, এই সংকট শুরুর পর থেকে ১০ সেরা বিলিয়নিয়ারের যে পরিমাণ সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে; তা দিয়ে বিশ্বের যে কাউকে ভাইরাসের কারণে দারিদ্রতায় শিকার হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা যাবে। এবং সবার জন্য করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন কেনার টাকা দেয়া যাবে।

করোনাভাইরাস মহামারি আমাদের বুঝিয়েছে দারিদ্র্য ও অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তির কোনো স্থায়ী বেরিয়ে যাওয়ার পথ নেই। বিলিয়নিয়াররাও এইরকম ভোগান্তির মুখে সঙ্কট থেকে লাভ করতে কোনও সাধারণ, নৈতিক বা অর্থনৈতিক বোধ তৈরি করে না। ওই বৃদ্ধি পাওয়া সম্পদ বরং মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষের জীবন বাঁচানো এবং বিলিয়ন মানুষের জীবিকা রক্ষার কাজে ব্যবহার হতে পারতো।

অক্সফামের এই প্রতিবেদন বলছে, এসব ক্ষেত্রে নারী, বর্ণবাদের শিকার মানুষ এবং প্রস্তিক সম্প্রদায়ের জনগণ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ