করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়েছে: শিল্পমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২০, ১৮:৫৪
বাংলাদেশে করোনাপরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়েছে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এ বছর ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে বিভিন্ন দাতাসংস্থা পূর্বাভাস করছে।
রোববার (২৯ নভেম্বর) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই) আয়োজিত শীর্ষক ওয়েবিনারে তিনি প্রধান এ কথা বলেন।
ডিসিসিআই প্রেসিডেন্ট শামস মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মো. মাসুদুর রহমান এতে সম্মানিত অতিথি ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, অতিক্ষুদ্র, কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, বৃহত্তর শিল্পের ফরোয়ার্ড ও ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজকে শক্তিশালী করা, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং গ্রামীণ ও শহরে বসবাসকারীদের মাঝে বৈষম্য কমানোর লক্ষ্যে আগামী শিল্পনীতি প্রণয়ন করা হবে।
অগ্রাধিকারমূলক খাত সমূহে নীতি সহায়তা, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আয়ত্বকরণের প্রযুক্তি, দক্ষতা উন্নয়ন ও করোনা বা দুর্যোগ মোকাবিলায় টেকসই দিকনির্দেশনা দেবার বিষয়টি নতুন জাতীয় শিল্পনীতিতে গুরুত্ব পাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
নতুন শিল্পনীতি ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়ন এবং ইজ অব ডুয়িং বিজনেস সূচকসহ বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান আরও উন্নত করতে ভূমিকা রাখবে এবং এর ফলে নতুন দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ আরও অধিক পরিমাণে আকৃষ্ট হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, জাতীয় অর্থনীতিতে শিল্পখাতের অবদান ৩৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি ও করোনাপরবর্তী সময়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন বেগবান করতে অতিক্ষুদ্র, কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
ওয়েবিনারে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, করোনার প্রভাবে অর্থনীতিতে সমস্যার সৃষ্টি হলেও সমন্বিত অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এটি একটি বিশেষ সুবিধা সৃষ্টি করে দিয়েছে। এর ফলে দেশের অর্থনীতি আগামীতে আরও মজবুত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় এগিয়ে রয়েছে, এই ধারাকে আগামীতে অক্ষুন্ন রাখতে সকলকে সাথে নিয়ে একটি সমন্বিত ও সবুজ অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে। করোনাজনিত সৃষ্ট অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও অভ্যন্তরীণ চাহিদাকে চাঙ্গা রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
ওয়েবিনারে বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভলপমেন্ট (বিল্ড) -এর চেয়ারপারসন আবুল কাশেম খান শিল্প খাত সংশ্লিষ্ট সকল নীতিমালার মধ্যে একটি সমন্বয় সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। নবীন উদ্যোক্তারা যাতে সহজে নতুন ব্যবসা শুরু করতে পারেন সেজন্য ট্রেড লাইসেন্স প্রদান পদ্ধতি সহজ করার আহ্বান জানান তিনি।
এসএমই ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান ড. মো. মাসুদুর রহমান বলেন, এসএমই খাতের সবচেয়ে বড় সমস্যা অর্থায়নের সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি বাজারব্যবস্থার নতুন প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করা ও দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে উদ্যোক্তাদের আরও মনোযোগী হতে হবে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের এসএমই ক্লাস্টারগুলোতে কমন ফ্যাসিলিটি নিশ্চিত করতে এসএমই ফাউন্ডেশন কাজ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এবিএন/মমিন/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ