আজকের শিরোনাম :

মেলান্দহে অটোরিক্সাচালকের মৃতদেহ উদ্ধার : গ্রেপ্তার ২

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২০, ১৫:৫৩

জামালপুরের মেলান্দহে নিখোঁজের ৮দিন পর রিক্সাচালক আব্দুল মালেকের (৩০) অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে। ১৯অক্টোবর ভোর ৬টা থেকে পুলিশ-ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় জনতা তল্লাশি চালায়। দুপুর ১২টার দিকে নলকুড়ি ব্রিজ সংলগ্ন জলাশয় থেকে ওসি তদন্ত আব্দুল মজিদ প্রথম লাশটি উদ্ধার করেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রানী সরকার লাশ উদ্ধারের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

এ ঘটনায় নলকুড়ি গ্রামের কানু শেখের ছেলে শফিকুল ইসলাম(৩২) এবং দেওয়ানগঞ্জের আমজাদ হোসেন (৩৬) নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওদিকে মালেকের মৃতদেহ উদ্ধারের খবরে বিক্ষুব্দ জনতা ও রিক্সাশ্রমিকরা দুপুর ২টায় খুনিদের ফাঁসির দাবিতে মেলান্দহ বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রানী সরকার, সার্কেল এসপি ছামিউল ইসলাম মেলান্দহ অফিসার ইনচার্জ রেজাউল ইসলাম খান এবং জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আক্তার উদ্দিন, নিহতের পরিবারসহ সাধারণ জনতা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।জানা গেছে, ১২অক্টোবর নয়ানগর ইউনিয়নের বুরুঙ্গা গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে আঃ মালেক (৩০) নিখোঁজের ঘটনায় স্ত্রী রিতা বেগম (২৪) মেলান্দহ থানায় জিডি করেন।

ওদিকে নিখোঁজ মালেকের স্বজনরাও বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করতে থাকেন। ১৬অক্টোবর নাংলা ইউনিয়নের নলকুড়ি গ্রামের কানু শেখের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩২) এর বাড়িতে রিক্সাটির সন্ধান পাওয়া যায়। খবর পেয়ে মেলান্দহ থানা পুলিশ শফিকুলের বাড়িতে হানা দিয়ে হারিয়ে যাওয়া রিক্সাসহ শফিকুলকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃত শফিকুলের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেওয়ানগঞ্জের আমজাদ হোসেন (৩৬)কে গ্রেপ্তারসহ কয়েকজনকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরআগে শফিকুলের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার গ্রেপ্তারকৃত শফিকুলের বাড়ির ৫০০/৬০০ গজের মধ্যে জলাশয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নিখোঁজ আব্দুল মালেকের মৃতদেহ উদ্ধারে তৎপরতা চালিয়ে ছিলেন। দ্বিতীয় অভিযানে সেই জলাশয় থেকেই আব্দুল মালেকের মৃতদেহ পাওয়া যায়। মৃতদেহের পেটকাটাসহ বিভিন্ন স্থানে ক্ষত ছিল।

অফিসার ইনচার্জ রেজাউল ইসলাম খান জানান-নিখোঁজ আব্দুল মালেকের মৃতদেহ জামালপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। শফিকুল পুলিশকেও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে। এজন্য তথ্যের যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মেলান্দহ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এই হত্যাকান্ডের সাথে অপরাধিদের কোন সিন্ডিকেট সম্পৃক্ত কিনা? এমন প্রশ্নে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রানী সরকার বলেন, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এলাকাবাসি জানিয়েছেন-গ্রেপ্তারকৃত শফিকুল একজন পেশাদার চোর, দুস্কৃতিকারি এবং জুয়াড়ি। আব্দুল মালেকের বাড়িতে স্বজনদের শোকের মাতম চলছে।
 

এবিএন/শাহ্ জামাল/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ