আজকের শিরোনাম :

বিজয়নগরে মাল্টা চাষে খুশি কৃষকরা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০১৮, ১৪:২৬

বিজয়নগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) , ০৭ আগস্ট, এবিনিউজ : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মধ্যে কৃষি নির্ভর উপজেলা হিসেবে খ্যাত বিজয়নগর।  এখাকার অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল।  সারা বাংলাদেশের মধ্য বিজয়নগর উপজেলার লিচুর সুনাম রয়েছে। এখাকার লিচু সুস্বাদু ও রসালো হওয়ায় এর কদর দেশ বিদেশেরও রয়েছে।  লিচু, কাঁঠাল ফলনের পাশাপাশি বর্তমান সময়ে এ উপজেলায় মাল্টা চাষ ব্যাপক ভাবে শুরু হয়েছে। সল্প পুজিতে বেশি লাভবান হওয়ার মাল্টা চাষের প্রতি কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠছে।  

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সাল থেকে উপজেলার  পাহাড়পুর, হরষপুর, বিষ্ণুপুর, সিঙ্গারবিল, পত্তন, আদমপুর, শ্রীপুর , মুকুন্দপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ৫০ হেক্টর জমিতে ৬২টি বাগানে মাল্টা চাষ শুরু হয়। সাইট্রাস ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট থেকে এখানকার কৃষকদেরকে বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে মাল্টা গাছের চারা, সার ও কীটনাশক, ঔষধ এবং চাষিদেরকের মাল্টা চাষের উপর ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ব্যাপারে উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল আলম জানান. , কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাইট্রাস ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প থেকে ২০১৫ সাল থেকে সাইট্রাস জাতীয় ফল লেবু,  কমলা ও মাল্টা চাষ শুরু হয়। আমাদের উপজেলা কৃষি কার্যালয় থেকে এসব চারা, সার, কীটনাশক, স্প্রে মেশিন বিনামূল্যে কৃষকদের দেওয়া হয়েছে। আমরা এর আগে কৃষকদের ট্রেনিংও দিয়েছি। এ বছর মাল্টার ভালো ফলন হয়েছে। আমরা আশা করছি, প্রতিটি বাগান থেকে ৫০ থেকে ৬০ হাজার মাল্টা বিক্রি করা যাবে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাল্টা চাষের বাগান ঘুরে দেখা যায়, মাল্টা গাছ গুলোতে পযার্ন্ত মাল্টা এেেসছে। সারিবন্ধ গাছে গাছে ঝুলছে মাল্টা। প্রত্যেক গাছে মাল্টা এমন ভাবে এসেছে যে মাল্টার ভরে গাছ  নুয়ে পড়েছে। এমন চিত্র প্রায় মাল্টা বাগানে দেখা গেছে।   মাল্টা চাষি মো. নিয়াজ মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি জানান,  ৩০শতক জায়গার মধ্যে ২৫০টি মাল্টা গাছ রোপণ করেছেন তিনি। যে বাগানে মাল্টা চাষ করছেন তিনি ঐ বাগানে আগে আনারস, কাঁঠাল ও বাঁশঝাড় ছিল। এ গুলোতে বেশি লাভ না হওয়ায় দুই বছর ধরে তিনি মাল্টা চাষ করছেন। মাল্টা গাছ গুলোতে প্রথম বারের মতো ভালো ফলন এসেছে।  এর আগে তেমন ফলন হয়নি। তিনি আশা করেন এবছর মাল্টার ফলন ভালো হবে এবং মাল্টা বিক্রি করে তিনি অনেক লাভবান হবেন।  আলম হোসেন নামে অপর একজন মাল্টা চাষি বলেন, জমিতে আগে ধান চাষ করতাম,পাশে জমিতে মাল্টা চাষ দেখে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে আমিও মাল্টা চাষ শুরু করেছি। আশা করি ফলনের দিক দিয়েও মাল্টা চাষ করে লাভবান হবো। মাল্টা বাগান পরির্চার বিষয়ে তিনি বলেন, মাল্টা গাছের চারপাশে আগাছাগুলো পরিস্কার করলে এবং পোকা আক্রমন দেখলে কীটনাশক ও ঔষধ স্প্রে করলেই গাছগুলো সতেজ থাকে। আর শুষ্ক মৌসুমে বাগান গুলোতে সেচ দিতে হয়। মাল্টা চাষিরা জানিয়েছেন প্রতিটি মাল্টা বাগানে বিঘা প্রতি ১৫/২০ হাজার টাকা খরচ হবে আর বিক্রি হবে ২৫/৩০ হাজারেও বেশি। মাল্টা বাগান গুলোতে সপ্তাহে ৪/৫ ঘন্টা শ্রম দিলেই চলে। মাঝে মধ্যে লাল সার, গুটি সার, কিছু কীটনাশক ও ঔষধ স্প্রে দিতে হয়।  প্রথম বারের মতো মাল্টা বাগান গুলোতে মাল্টার ভালো ফলন দেখে চাষিরা অনেক খুশি। তারা আশা করছেন যদি কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগের কবল থেকে বাগান গুলো রক্ষা পায় তাহলে চাষিরা অনেক লাভবান হবেন। 

এবিএন/এস. এম জহিরুল আলম চৌধুরী/জসিম/নির্ঝর

এই বিভাগের আরো সংবাদ