সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সুয়েব হত্যাকান্ড
বাসর না করাই কাল হলো সুয়েবের
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০১৮, ১৩:৫৫ | আপডেট : ০৭ আগস্ট ২০১৮, ১৩:৫৯
সুনামগঞ্জ, ০৭ আগস্ট, এবিনিউজ : সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সুয়েব হত্যাকান্ডকে ঘিরে নানা রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। কে বা কারা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত এ নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। তবে এ নিয়ে নিহত সুয়েবের বাদী তারই বড় ভাই সুহেল আহমদ বালিজুড়ি গ্রামের মোঃ আব্দুর রাজ্জাক ও মোঃ আব্দুল আহাদ হিমেলসহ ৮ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কিন্তু নিহত সুয়েবের মা জানেন না কে বা কারা তার ছেলেকে খুন করেছে। তবে তিনি দাবী করেন আসামীদের সাথে ১০ বছর ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ আছে। এ রকম ধারনা থেকেই তারা এ মামলাটি দায়ের করেছেন।
সুয়েব হত্যাকান্ডের মুল রহস্য উদঘাটন করতে সরেজমিনে তার গ্রামের বাড়ি বালিজুড়িতে গেলে বেরিয়ে আসে বেশ কিছু রহস্যজনক তথ্য। গ্রামের লোকজন জানান, সুয়েব হত্যাকান্ডের দিন তার বাসর ছিল। বাসর না করে গায়ে জ্বর এসেছে বলে মা’য়ের কাছে মোবাইল ও ৫০ টাকা রেখে বাংলোতে ঘুমাতে চলে যায়। সকালে তার লাশ পাওয়া যায় তাদের বাড়ির স্নানঘাটে যাদুকাটা (মরা নদীতে)।
গ্রামবাসী অনেকেই জানিয়েছেন, সুয়েব তার পছন্দমত মেয়েটিকে বিয়ে করেন। তার পরিবার বিয়েতে সম্মত ছিলেন না। পরিবারের অবাধ্য হয়ে বিয়ে করেন তিনি। ঘটনার দিন তার বউ ভাত অনুষ্ঠানে শশুড়বাড়ীর লোকজনের সাথে সুয়েবের পরিবারের লোকজন খারাপ ব্যবহার করেন। এ অপমান বোধ থেকেই পারিবারিক কলহের কারণে তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর বেঁধে নদীতে ফেলে দেয়া হতে পারে। এছাড়া অনুসন্ধানে আরো জানাগেছে সোয়েব জ্বর উঠায় বাসর না করে বাংলোতে ঘুমোতে গেলেন কেন ? তিনি অসুস্থ হলে হাসপাতাল কিংবা ডাক্তার দেখিয়ে ঔষধ সেবন করতে পারতেন। কিংবা নববধুর পাশে থেকে সেবা নিতে পারতেন। ভালবেসে বিয়ে করা এ নববধুর পাশে কেন তিনি ঘুমোতে গেলেন না? নববধুর সেবা না নিয়ে তিনি বাহিরে ঘুমোতে যাবেন কেন? স্বাভাবিক ভাবেই উত্তর মিলে তিনি বউ ভাত অনুষ্ঠানে শশুর বাড়ির লোকজন অপমানিত হওয়ায় পরিবারের উপর জেদ করে বাসর করতে যাননি। এ নিয়ে পারিবারিকভাবে কলহের কারনেই তাকে কেউ হত্যা করতে পারে।
তবে প্রতিপক্ষকে কেন মামলার আসামী করা হলো এনিয়ে গ্রামবাসী মুখ খুলেন গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে। বালীজুড়ী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আসআদ মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা আমির উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা ফালু মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা সামসুদ্দিন জানান, পরিবারের অবাধ্য হয়ে সুয়েব মেয়েটিকে বিয়ে করে। এ নিয়ে বউ ভাত অনুষ্ঠানে শশুরবাড়ীর লোকজনের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছিল। এতে সুয়েব অপমানিতবোধ করে জ্বরের অযুহাত দেখিয়ে বাসর না করে বাংলায় ঘুমানোর জন্য চলে যান। পরিবারের মনোমালিন্য কারনে এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে। এবং নিজেদের আড়াল করতে প্রতিপক্ষকে ফাঁসিয়ে ঘটনাকে জায়েজ করার চেষ্ঠা করছেন। তারা আরো জানান, মামলার বিবাদী আব্দুল গোলাপ, হিমেলসহ যাদেরকে আসামী করা হয়েছে তারা খুবই ভাল মানুষ। এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক মিয়া বলেন, ঘটনা শুনে আমি বাড়িতে যাই। এ সময় পুলিশও আসে। হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পাই। এ সময় তার শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন দেখতে পাইনি। শুনেছি ঘটনার আগেরদিন বউভাতে ঝগড়া হয়েছে। এ ঝগড়া থেকেই বাসর না করতে সুয়েব সিদ্ধান্ত নেয়। ঐরাত পরিবারের লোকজন সবাই আনন্দ-উৎসবে মত্ত ছিল। এবং তাকে বাসর করাতে ভাবীরা জোর চেষ্ঠা চালায়। এরকম একটি বিয়ে বাড়িতে সুয়েবকে হত্যা নিশ্চিত করে তারই বাড়ির স্নানঘাটে হাত-পা বেঁধে লাশ ফেলে দেয়ার সাহস কিংবা সুযোগ প্রতিপক্ষ থেকে হতে পারেনা। যদি প্রতিপক্ষ হত্যাকান্ড ঘটিয়ে থাকত তাহলে সুয়েবের লাশ অন্য কোন জায়গায় ফেলে দিতে পারতো।
কয়েকজন মুরুব্বি জানান, পুর্ব শত্রুতার খায়েশ মেটাতেই সুয়েবের বড়ভাই বাদী ও তার আত্মীয় স্বজনদের স্বাক্ষী রেখে হয়রানীমুলক মামলা দায়ের করেছেন। আসামীগন সমাজের ভাল মানুষ হিসেবে সবাই জানে। এরা খুন করেছে গ্রামের কেউ বলবে না।
বালীজুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, অনেক আগে গ্রামে আমাকে একটি পক্ষ এসিড মামলা দিয়ে ফাঁসিয়েছে। পরে ২২ লক্ষ টাকা খরচ করে রেহাই পাই। সুয়েব হত্যাকান্ডের আসামীরাও আমার মত ফাঁসতে যাচ্ছে। মিথ্যার এ সংস্কৃতি বন্ধ করে নির্দোষ আসামীদের মামলা থেকে পরিত্রানের দাবী জানান তিনি।
নিহত সুয়েবের মা নুরুন্নেছা বেগম জানান, কারা মেরেছে দেখিনি। তবে মামলার আসামীদের পুর্ব বিরোধ আছে। এরাই খুন করতে পারে। তবে তিনি প্রকৃত খুনীদের বিচার চান। সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম জানান, শ্বাসরুদ্ধ হয়ে সুয়েব খুন হয়। এটি হতে পারে হাত-পা বেঁধে পানিতে ফেলে দেয়ার পর অথবা আগে শ্বাসরুদ্ধ করা হয়। এদিকে হত্যা মামলাটি ডিবি’র তদন্তাধীন রয়েছে।
মামলার বাদী সুহেল আহমদ জানান, পারিবারিক কলহের কারণে ভাই মারা যায়নি। পুর্বশত্রুতার কারণেই সুয়েব খুন হয়ে থাকতে পারে। পুর্বশত্রুতার কারণেই সুয়েব খুন হয়েছে। উল্লেখ্য তাহিরপুর উপজেলার গত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ইং তারিখে তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা মরা নদী থেকে বালিজুড়ি গ্রামের আব্দুস শহিদের ছেলে সুয়েব আহমদের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই পুর্ব শত্রুতার জের ধরেই সন্দেহ পোষন করে নিহত সুয়েব আহমদের বড় ভাই সোহেল বাদী হয়ে একই গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে আব্দুল গোলাপ, আব্দুল গোলাপের ছেলে মোঃ আব্দুল আহাদ হিমেলসহ ৮ জনকে আসামী করে ১৬৩/১৭ নং মামলা দায়ের করে। এবিএন/অরুন চক্রবর্তী/জসিম/নির্ঝর
সুয়েব হত্যাকান্ডের মুল রহস্য উদঘাটন করতে সরেজমিনে তার গ্রামের বাড়ি বালিজুড়িতে গেলে বেরিয়ে আসে বেশ কিছু রহস্যজনক তথ্য। গ্রামের লোকজন জানান, সুয়েব হত্যাকান্ডের দিন তার বাসর ছিল। বাসর না করে গায়ে জ্বর এসেছে বলে মা’য়ের কাছে মোবাইল ও ৫০ টাকা রেখে বাংলোতে ঘুমাতে চলে যায়। সকালে তার লাশ পাওয়া যায় তাদের বাড়ির স্নানঘাটে যাদুকাটা (মরা নদীতে)।
গ্রামবাসী অনেকেই জানিয়েছেন, সুয়েব তার পছন্দমত মেয়েটিকে বিয়ে করেন। তার পরিবার বিয়েতে সম্মত ছিলেন না। পরিবারের অবাধ্য হয়ে বিয়ে করেন তিনি। ঘটনার দিন তার বউ ভাত অনুষ্ঠানে শশুড়বাড়ীর লোকজনের সাথে সুয়েবের পরিবারের লোকজন খারাপ ব্যবহার করেন। এ অপমান বোধ থেকেই পারিবারিক কলহের কারণে তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর বেঁধে নদীতে ফেলে দেয়া হতে পারে। এছাড়া অনুসন্ধানে আরো জানাগেছে সোয়েব জ্বর উঠায় বাসর না করে বাংলোতে ঘুমোতে গেলেন কেন ? তিনি অসুস্থ হলে হাসপাতাল কিংবা ডাক্তার দেখিয়ে ঔষধ সেবন করতে পারতেন। কিংবা নববধুর পাশে থেকে সেবা নিতে পারতেন। ভালবেসে বিয়ে করা এ নববধুর পাশে কেন তিনি ঘুমোতে গেলেন না? নববধুর সেবা না নিয়ে তিনি বাহিরে ঘুমোতে যাবেন কেন? স্বাভাবিক ভাবেই উত্তর মিলে তিনি বউ ভাত অনুষ্ঠানে শশুর বাড়ির লোকজন অপমানিত হওয়ায় পরিবারের উপর জেদ করে বাসর করতে যাননি। এ নিয়ে পারিবারিকভাবে কলহের কারনেই তাকে কেউ হত্যা করতে পারে।
তবে প্রতিপক্ষকে কেন মামলার আসামী করা হলো এনিয়ে গ্রামবাসী মুখ খুলেন গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে। বালীজুড়ী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আসআদ মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা আমির উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা ফালু মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা সামসুদ্দিন জানান, পরিবারের অবাধ্য হয়ে সুয়েব মেয়েটিকে বিয়ে করে। এ নিয়ে বউ ভাত অনুষ্ঠানে শশুরবাড়ীর লোকজনের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছিল। এতে সুয়েব অপমানিতবোধ করে জ্বরের অযুহাত দেখিয়ে বাসর না করে বাংলায় ঘুমানোর জন্য চলে যান। পরিবারের মনোমালিন্য কারনে এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে। এবং নিজেদের আড়াল করতে প্রতিপক্ষকে ফাঁসিয়ে ঘটনাকে জায়েজ করার চেষ্ঠা করছেন। তারা আরো জানান, মামলার বিবাদী আব্দুল গোলাপ, হিমেলসহ যাদেরকে আসামী করা হয়েছে তারা খুবই ভাল মানুষ। এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক মিয়া বলেন, ঘটনা শুনে আমি বাড়িতে যাই। এ সময় পুলিশও আসে। হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পাই। এ সময় তার শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন দেখতে পাইনি। শুনেছি ঘটনার আগেরদিন বউভাতে ঝগড়া হয়েছে। এ ঝগড়া থেকেই বাসর না করতে সুয়েব সিদ্ধান্ত নেয়। ঐরাত পরিবারের লোকজন সবাই আনন্দ-উৎসবে মত্ত ছিল। এবং তাকে বাসর করাতে ভাবীরা জোর চেষ্ঠা চালায়। এরকম একটি বিয়ে বাড়িতে সুয়েবকে হত্যা নিশ্চিত করে তারই বাড়ির স্নানঘাটে হাত-পা বেঁধে লাশ ফেলে দেয়ার সাহস কিংবা সুযোগ প্রতিপক্ষ থেকে হতে পারেনা। যদি প্রতিপক্ষ হত্যাকান্ড ঘটিয়ে থাকত তাহলে সুয়েবের লাশ অন্য কোন জায়গায় ফেলে দিতে পারতো।
কয়েকজন মুরুব্বি জানান, পুর্ব শত্রুতার খায়েশ মেটাতেই সুয়েবের বড়ভাই বাদী ও তার আত্মীয় স্বজনদের স্বাক্ষী রেখে হয়রানীমুলক মামলা দায়ের করেছেন। আসামীগন সমাজের ভাল মানুষ হিসেবে সবাই জানে। এরা খুন করেছে গ্রামের কেউ বলবে না।
বালীজুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, অনেক আগে গ্রামে আমাকে একটি পক্ষ এসিড মামলা দিয়ে ফাঁসিয়েছে। পরে ২২ লক্ষ টাকা খরচ করে রেহাই পাই। সুয়েব হত্যাকান্ডের আসামীরাও আমার মত ফাঁসতে যাচ্ছে। মিথ্যার এ সংস্কৃতি বন্ধ করে নির্দোষ আসামীদের মামলা থেকে পরিত্রানের দাবী জানান তিনি।
নিহত সুয়েবের মা নুরুন্নেছা বেগম জানান, কারা মেরেছে দেখিনি। তবে মামলার আসামীদের পুর্ব বিরোধ আছে। এরাই খুন করতে পারে। তবে তিনি প্রকৃত খুনীদের বিচার চান। সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম জানান, শ্বাসরুদ্ধ হয়ে সুয়েব খুন হয়। এটি হতে পারে হাত-পা বেঁধে পানিতে ফেলে দেয়ার পর অথবা আগে শ্বাসরুদ্ধ করা হয়। এদিকে হত্যা মামলাটি ডিবি’র তদন্তাধীন রয়েছে।
মামলার বাদী সুহেল আহমদ জানান, পারিবারিক কলহের কারণে ভাই মারা যায়নি। পুর্বশত্রুতার কারণেই সুয়েব খুন হয়ে থাকতে পারে। পুর্বশত্রুতার কারণেই সুয়েব খুন হয়েছে। উল্লেখ্য তাহিরপুর উপজেলার গত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ইং তারিখে তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা মরা নদী থেকে বালিজুড়ি গ্রামের আব্দুস শহিদের ছেলে সুয়েব আহমদের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই পুর্ব শত্রুতার জের ধরেই সন্দেহ পোষন করে নিহত সুয়েব আহমদের বড় ভাই সোহেল বাদী হয়ে একই গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে আব্দুল গোলাপ, আব্দুল গোলাপের ছেলে মোঃ আব্দুল আহাদ হিমেলসহ ৮ জনকে আসামী করে ১৬৩/১৭ নং মামলা দায়ের করে। এবিএন/অরুন চক্রবর্তী/জসিম/নির্ঝর
এই বিভাগের আরো সংবাদ