আজকের শিরোনাম :

মধ্যপাড়া পাথর খনিতে পাথরের হিসাব নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে খনি কর্তৃপক্ষ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০১৮, ২১:১৫

পার্বতীপুর (দিনাজপুর), ০৫ জুলাই, এবিনিউজ : বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে কয়লা খোয়া যাওয়ার তদন্ত শেষ না হতেই যোগ হচ্ছে নতুন করে পার্বতীপুর অবস্থিত মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনির পাথরের হিসাব মিলছে না। কয়লা গায়েব হওয়ার সংবাদ হওয়ার পর পরেই নড়েচড়ে বসে পাথর খনির কর্তৃপক্ষ। 
গত ২৯ শে জুলাই  বোর্ড মিটিং এ নতুন করে তুলা হয় ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৮০০শত ১৭ মেট্রিকটন পাথরের হিসাব নিকাশ। 

পেট্রোবাংলার মহা-ব্যবস্থাপক জাবেদ চৌধুরীকে আহব্বায়ক করে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ। কমিটির অন্যরা হলেন পেট্রোবাংলার ম্যানেজার বেলায়েত হোসেন, আনোয়ার হোসেন ও খনির উপ-মহাব্যবস্থাপক রাজেন নবী। 

মধ্যপাড়া খনি ২০০৭ সালের ২৫ শে মে বানিজ্যিভাবে যাওয়ার পর থেকে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ৪২ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৫ মেট্রিকটন। এদিকে বোর্ড মিটিংয়ে ২০০৬-২০০৭ অর্থ বছর হতে ২০১২-১৩ অর্থ বছর পর্যন্ত পাথর মাপ যন্ত্রটি ক্রটি সিস্টেম লস বলা হলেও ২ লাখ ২৭ হাজার ২৩৩ মেট্রিক টন পাথর ও ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ১ লাখ ৬ হাজার ৪৮৬ মেট্রিকটন পাথর ইয়ারডে নষ্ট ও মাটির নিচে দেবে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৮১৬.৮৯ মেট্রিকটন পাথরের মূল্য ধরা হয়েছে ৫৫ কোটি ২৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৪৮ টাকা। সমন্বয়ে না করে খনির বিশাল ক্ষতি হয়েছে। 

সার্বিক বিষয়ে বোর্ড মিটিংয়ে এবং পেট্রোবাংলাকে বার বার তাগিদ দেওয়া হয়। কিন্তু বোর্ড মিটিংয়ে বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয় নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা জানান, ২০০৬-০৭ র্অথ বছর হতে ২০১২-১৩ অর্থ বছরে খনির পাথর উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান দক্ষিন কোরিয়ার নাম নাম কোম্পানীর আমলে ক্রটি ও সিস্টেম লসের আওতায় ২ লাখ ২৭ হাজার ২৩৩ মেট্রিকটন। 

২০১২-১৩ অর্থবছরে পাথর ওজনের যন্ত্রের ক্রটি ছিল না। তার পরেও পাথর মাটির নিচে দেবে গেছে এমনকি হতে পারে। সার্বিক এ বিষয় এ প্রতিবেদক মধ্যপাড়া পাথর খনির কর্মকর্তাদের সাথে বিকেলে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। 

এবিএন/এম এ জলিল সরকার/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ