আজকের শিরোনাম :

বেড়ায় মাসকালাই চাষে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২০, ১২:৩৬

দীর্ঘ মেয়াদি ও দফায় দফায় বন্যা হওয়ার কারণে পাবনার বেড়া উপজেলার চরাঞ্চলের প্রধান অর্থকরী ফসল মাসকালাই চাষে কৃষক ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সাথে আশানুরুপ উৎপাদন ব্যহত হবে সবজি চাষীদের।        

উপজেলার হাটুরিয়া নাকালিয়া, কৈটোলা, নতুন ভারেঙ্গা, পুরান ভারেঙ্গা, রূপপুর, মাসুমদিয়া ও ঢালার চর ইউনিয়নের চরাঞ্চলের অধিকাংশ জমির বিভিন্ন ফসলাদির ক্ষেত একাধিক বার বন্যার পানিতে ডুবে যায়। এতে চরাঞ্চলের কৃষকরা অর্থনৈতিক ভাবে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

এ দিকে পঞ্চম দফা বন্যার পানিতে আবারও চরাঞ্চলের নি¤œ এলাকার অধিকাংশ বাড়ি-ঘর বর্শালি ইরি ধান সহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে।

এছাড়া এখনও চরাঞ্চলের হাজার হাজার বিঘা আবাদি জমি বিশেষ করে মাষকালাই চাষের জমি তিন থেকে চার ফুট পানির নিচে ডুবে রয়েছে।

চরাঞ্চলের স্থানীয় লোকজন ও বিভিন্ন গ্রামের একাধিক কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ বছর বার বার বন্যার পানিতে জমিগুলো ডুবে গিয়ে ধান, চিনা বাদামসহ বিভিন্ন সবজি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হযেছে। তার পরও কৃষকরা আশায় বুক বেধে আছে, নির্ধারিত সময়ে মাসকালাই চাষ করে কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য। চরাঞ্চলের কৃষকদের অর্থনৈতিক আয়ের ফসল হচ্ছে, বাদাম, মাসকালাই, ধান ও চিনা।

মাসকালাই জমিতে বোনার উপযুক্ত সময় ও বর্ষার পানি জমি থেকে নেমে যাওয়ার পর ক্ষেত পরিচর্যা করে ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি থেকে আশ্বিন মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই মাষকালাই ছিটাইয়ে বোনার কাজ শেষ করা হয়। কিন্তু আশ্বিন মাসের দুই সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও এখনও জমিগুলো তিন চার ফুট করে বন্যার পানির নিচে ডুবে রয়েছে। এক-দুই সপ্তাহর মধ্যে জমি থেকে বন্যার পানি না নামলে মাষকালাই বীজ বোনা আর হবে না বলে চরের কৃষকরা বলেন। সময় মতো মাষকালাই বীজ জমিতে বুনতে না পারলে চরাঞ্চলের কৃষকরা আবারও বড় ধরণের অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পরবে। এ আশঙ্খায় চরাঞ্চলের চাষিরা ভবিষ্যত চিন্তায় হতবিহবল ও দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

বেড়া উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আজমত আলী বলেন, বেড়া উপজেলার চরাঞ্চলের প্রচুর পরিমানে মাসকালাই উৎপাদন হয়ে থাকে। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যবসায়ীরা বাজার জাত করে থাকে। গত বছর উপজেলার চরাঞ্চলে ২ হাজার ৯৯৫ হেক্টর জমিতে মাসকালাই-এর চাষ হয়েছিল। তিনি বলেন,দ্রুত জমি থেকে পানি নেমে গেলেই চাষিরা মাসকালাই বীজ জমিতে বোনা শুরু করতে পারবেন।

যমুনা নদীর পানি গত ৪৮ ঘন্টায় উপজেলার কৈটোলা পয়েন্টে ছয় ইঞ্চি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে কৈটোলা পাম্পিং স্টেশন সূত্রে জানা গেছে।

এবিএন/নির্মল সরকার/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ