আজকের শিরোনাম :

বাউফলে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে সিলিন্ডার গ্যাস

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৯:৫৯

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার আনাচে-কানাচে লাইন্সেস ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছাড়াই যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার। গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয় প্রতিষ্ঠানে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহারের বিধান থাকলেও মানছে না কোন বিক্রেতাই। আইনের তোকাক্কা না করেই শুধু ট্রেড লাইসেন্স দিয়েই উপজেলার প্রতিটি বাজারেই চলছে এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা। প্রশাসনের  চোখের সামনেই চলে  অবৈধ এলপি গ্যাসের ব্যবসা।

ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা দোকানগুলোয় খোলামেলাভাবে গ্যাস বিক্রি করায় চরম ঝুঁকিতে চলাফেরা করতে হচ্ছে ক্রেতা,পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দাসহ স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরাও। নিয়মবহিভর্’তভাবে সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যবসা চললে যে কোন ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থাণীয়রা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বাউফল পৌরশহরসহ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ওষধের দোকান, পানের দোকান, মুদি-মনোহারি দোকান,ফটোকপির দোকান,রট-সিমেন্টের দোকান, বিকাশের এজেন্ট দোকানগুলোর সামনে সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রেগে ঝুঁকিপূর্ণভাবে সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি হচ্ছে।
সূত্রে জানা যায়, লাইসেন্স ছাড়া কোন দোকানে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি করা যাবে না। ২০০৩ সালের দাহ পদার্থ সংরক্ষণ আইন অনুয়ায়ী কোন ব্যক্তি যদি লাইসেন্স ছাড়া বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবসা করে তার তিন বছরের কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের বিধান রয়েছে।

এবিষয়,বাউফল উপজেলার ফায়ার সার্ফিসের স্টেশন অফিসার বাহাউদ্দিন বলেন, লাইন্সেস না থাকা এবং পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকি থেকে যায়। দুর্ঘটনা এড়াতে এলপি সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রির নীতিমালা প্রণয়ন ও লাইন্সেসবিহীণ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে নিয়মের আওতায় আনা প্রয়োজন। প্রেসক্লাবের সভাপতি হারুন অর-রশিদ জানান,প্রশাসনের তদারকি বাড়ানো হলেই কেবলমাত্র লাইসেন্সবিহীন গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা বন্ধ করা সম্ভব ।

বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন বলেন,যারা অগ্নিনির্বাপক ও লাইন্সেসবিহীন এলপি সিলিন্ডার গ্যাস যেখানে সেখানে বসে বিক্রি করছে তাদের ব্যাপারে প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।
 

এবিএন/দেলোয়ার হোসেন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ