চসিকের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৮:৪২
চাক্তায়ের ড্রামপট্টিতে লীজের শর্ত বঙ্গ করে গনশৌচাগারের আড়ালে ৩টিস্থায়ী ও ১টি টং দোকান নির্মাণ করায় সিটি কর্পোরেশন লীজ গ্রহীতা অভিজিত পান্ডেকে নোটিশ প্রদান করলে জবাবে তিনি লীজের শর্ত ভঙ্গ করেননি বলে সাফাই দেন। এ ধরনের একটি সংবাদ স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে চসিক প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন।
এই প্রেক্ষিতে আজ সকালে সরেজমিনে গেলে দেখা যায় লীজ দাতা শর্ত ভঙ্গ করে পাকা দোকান নির্মাণ করে লাগিয়ত করেছেন। শর্ত ভঙ্গের দায়ে চসিকের ভূ-সম্পত্তি শাখা এই অবৈধ স্থাপনা ৩টি ও টং ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেন। এসময় চসিক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মুফিদুল আলম, এস্টেট অফিসার কামরুল ইসলাম চৌধুরী সহ কর্পোরেশনের বিদ্যুৎ ও পরিচ্ছনন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে চসিক প্রশাসক বলেন, আমি ঘোষনা দিয়েছিলাম চসিকের সম্পত্তি অবৈধ দখলদার থেকে উদ্ধার করতে নগরসীর তথ্য কাজে লাগানো হবে। এ ঘোষনায় নগরবাসী হতে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। তিনি নগরবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, চসিক আপনাদেরই প্রতিষ্ঠান। পথচারীরাই গণশৌচাগার ও ফুটপাত এর একমাত্র ব্যবহারকারী। তাই আপনাদের অধিকার রক্ষায় আমাকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন।
এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী ও স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) জাহানারা ফেরদৌস এর নেতৃত্বে আজ সকালে নগরীর লালখান বাজার মোড় থেকে মমতা ক্লিনিক পর্যন্ত চাঁনমারী রোডের উভয় পার্শ্বের ফুটপাত ও রাস্তা অবৈধভাবে দখল করে বসা প্রায় ৫০টি দোকান উচ্ছেদ করা হয় এবং ফুটপাতের অংশ অবৈধভাবে দখল করে নির্মিত প্রায় ৩০টি দোকানের বর্ধিত অংশ অপসারন করা হয়।
এসময় দোকানের পণ্য সামগ্রী রাস্তায় রেখে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি ও রাস্তায় অবৈধভাবে ট্রাক পার্কিং অপরাধে মোট ১৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ২৬,০০০/- টাকা জরিমানা করা হয়।
এবিএন/জসিম/তোহা
এবিএন/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ