ফুলবাড়ীতে জমি উদ্ধার করতে গিয়ে মিথ্যা মামলায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৫:০০

ফুলবাড়ীতে অবৈধ দখলকারীদের কাছ থেকে ফুলবাড়ী সরকারি কলেজের জমি উদ্ধার করতে গিয়ে মিথ্যা মামলার শিকার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

গত ১৯/০৮/২০২০ তারিখে ফুলবাড়ী সরকারি কলেজের সীমানা প্রাচীরের ভিতরে অবৈধ্য স্থাপনা নির্মাণে সরকারি কলেজের শিক্ষক কর্মচারীরা বাধাদিতে গেলে ফুলবাড়ী পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলার মোছা. রোকেয়া তার লোকজন দ্বারা মারপিট করে।

এতে ঐ শিক্ষক আহত হন এই ঘটনা কলেজের ১৫-১৬ জন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা জানতে পারলে তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে মহিলা কাউন্সিলারের লোকজন ও অবৈধ্য দখলকারীরা মারপিট করে এতে শিক্ষকসহ ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হন।

শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উপর মহূর্তে ছড়িয়ে পড়লে ফুলবাড়ী পৌর শহরের আশপাশের শতাধিক শিক্ষার্থী উক্ত ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে ঘন্টাব্যাপি মহাসড়ক অবরোধ করেন।

পরে ফুলবাড়ী আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রশাসন অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা তাদের অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়।

এই ঘটনার পরিপেক্ষিতে ফুলবাড়ী সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের আহত হওয়ার ঘটনায় ঐ দিনেই ফুলবাড়ী থানায় একটি ইজাহার দায়ের করেন।

যাহার মামলা নং-১১/১৪৫, তারিখ-১৯/০৮/২০২০। ঐ মামলা আমলে নিয়ে ফুলবাড়ী থানা পুলিশ অবৈধ দখলকারী মহিলা পৌর কাউন্সিলর রোকেয়া বেগমকে আটক করে কোর্টে চালান করেন। এরপর গত ২৫/০৯/২০২০ অন্যান্য আসামিরা কোর্টে জামিনের জন্যে হাজির হলে রোকেয়া বেগমের ভাই মিজানকেও জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন মহামান্য আদালত।

গত ২৭/০৮/২০২০ তারিখে তারা অন্তবর্তীকালীন জামিনে হাজত থেকে বেরিয়ে এসে রোকেয়া বেগম সরকারি কলেজের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও হয়রানি মূলক ফুলবাড়ী থানায় মিথ্যা মামলা দিতে দিনাজপুর দ্রুত বিচার অপরাধ ট্রাইবুন্যালে ২৫/০৮/২০২০ তারিখে ফুলবাড়ী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. নজমুল হকসহ ৫ জন বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তা ও দশজন শিক্ষার্থীর নামে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, লুটপাটসহ মিথ্যা মামলা করে। যাহার মামলা নং- সিআর-৩/২০২০, তারিখ- ০২/০৯/২০২০।

সরকারি কলেজের সম্পত্তি রক্ষা করতে যাওয়া শিক্ষক শিক্ষার্থীদেরকে পিটিয়ে জখম করে তাদের নামেই উল্টা হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করে অবৈধ দখলকারীরা।

এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. নজমুল হক ও দর্শন বিভাগের প্রভাষক ও ফুলবাড়ী সরকারি কলেজের ভূমি রক্ষা কমিটির সদস্য মো. এরশাদ হোসেন সাংবাদিককে জানান, আমরা নাকি তার নিকট ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছি, ইতিপূর্বে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। ২০০৮ থেকে সরকারি কলেজের জায়গার ভূয়া দলিল তৈরি করে সেই দলিলের বলে সরকারি জায়গা দখল করে রেখেছিল। ফুলবাড়ীর সচেতন মানুষ, ছাত্র ও বিভিন্ন মহলের সহযোগিতায় এই সরকারি কলেজের জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে। এখানে কলেজের স্বার্থে আমরা এ জায়গা উদ্ধার করেছি। আমাদের বিরুদ্ধে অবৈধ দখলকারী যে মামলা দায়ের করেছে তা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।    

এবিএন/মো. আফজাল হোসেন/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ