আজকের শিরোনাম :

মাথা গোজার ঠাঁই পেল সৈয়দপুরের ভূমহীনরা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০১৮, ১৯:৪৫

সৈয়দপুর (নীলফামারী), ৩১ জুলাই, এবিনিউজ : নীলফামারীর সৈয়দপুরে তিনশ’ ভুমিহীন পেল মাথা গোজার ঠাঁই। সরকার প্রতিশ্রুত আশ্রায়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় নতুন ঘর পেয়ে বেজায় খুশি তারা। উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের তদারকিতে পুরোদমে এগিয়ে চলছে এসব গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম।

সূত্র জানায়, যাদের এক শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ জমি রয়েছে, কিন্তু ঘর নেই বা থাকলেও তা বসবাসের অনুপযোগী এমন ব্যক্তি এই প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করবেন। এছাড়া দুঃস্থ, অসহায় মুক্তিযোদ্ধা, বিধবা মহিলা, স্বামী পরিত্যক্তা, প্রতিবন্ধি,উপার্জনে অক্ষম, ভিক্ষুক ও অতি বার্ধক্য এবং পরিবারের আয় উপার্জনক্ষম সদস্য নেই তারাও এ সুবিধা পাবেন।

এ প্রকল্পে সৈয়দপুর উপজেলায় তিনশ’ পরিবারের ঘর নির্মাণে এক লাখ টাকা করে মোট তিন কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। এসব কাজ দেখভাল করছেন ৫ সদস্যের একটি কমিটি। কমিটিতে আছেন পিআইও (সদস্যসচিব), উপজেলা প্রকৌশলী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও পিআইসি।

সরেজমিনে দেখা যায়, এ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার খাতামধুপু ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সরকার পাড়ার  রমজান আলীর (৫০) স্ত্রী আকিমন নিছা। ৪ সদস্য নিয়ে বসবাস করছেন জরাজির্ণ একটি কুড়েঘরে। এতেই কাটে তাদের কয়েক যুগের দাস্পত্য জীবন। আকিমন নিছা স্থানিয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে এমন একটি ঘর পেয়ে যারপরনাই আনন্দিত।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আমাদের দিকে নজর দেয়ায় এমন একটি ঘর পেয়েছি। এজন্য কাউকে কোন টাকা দিতে হয়নি। ওই ওয়ার্ডের পাইকার পাড়া গ্রামের এ প্রকল্পের সুবিধাভোগি সদস্য আজহারুল ইসলামের অনুপস্থিতিতে তার ছেলে এরশাদের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বলেন, ঘরের অবোকাঠামোগুলো উন্নত ইতিমধ্যে পিলার স্থাপন, ইটের সিমানা প্রাচির, বালু সিমেন্ট খোয়া দিয়েছে। সেগুলো দিয়ে ঘর নির্মানের কাজ করছে সরকার। এর জন্য কোনো ব্যায় হয়নি। তারমত গৃহহীন সদস্য নেবরু রায়, মোছা. রাবেয়া, মুক্তা বেগম, হৈমন্ত চন্দ্র, চেলু মামুদসহ সকল সুবিধা ভোগি ৩ শতাধিক সদস্য একই বলেন। এরজন্য দোয়া করেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে।

খাতামধুপুর ইউপির চেয়ারম্যান মোঃ জুয়েল চৌধুরী জানান, আমার ইউনিয়নে ৬০ জন ভূমিহীনের তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে গৃহনির্মাণ শুরু হয়েছে। ২৯৭ বর্গফুটের সেমি পাকা ঘরের পাশাপাশি একটি ল্যাট্রিনও তৈরী করে দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও ঘর নির্মাণ কমিটির সদস্য সচিব মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, ভূমিহীন পরিবার প্রতি এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ পাওয়া গেছে। কমিটির মাধ্যমে ঘর নিমার্ণ কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হচ্ছে। আমরা দফায় দফায় গৃহহীনদের এ নিয়ে মতবিনিময়ও করেছি।

উপজেলা আশ্রায়ন-২ প্রকল্প বাস্তবায়ন টাক্সফোর্স এর সভাপতি ও সৈয়দপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. বজলুর রশীদ বলেন, প্রকল্প প্রেরিত প্ল্যান, ডিজাইন ও প্রাক্কলন অনুযায়ী কাজ এগিয়ে চলছে। এসব কাজে কমিটির সার্বক্ষণিক তদারকি রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা সততার সাথে সময় ও শ্রম দিচ্ছেন। গত ২৮ জুলাই জেলা প্রশাসক স্যার প্রকল্পের নির্মাণাধীন ঘরগুলো পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

এবিএন/আলমগীর হোসেন/জসিম/এমসি

এই বিভাগের আরো সংবাদ