আজকের শিরোনাম :

শৈলকুপায় নদী ভাঙনে হুমকিতে হাটবাজার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০১৮, ১৪:৩৭

ঝিনাইদহ, ৩১ জুলাই, এবিনিউজ : খরস্রোতা গড়াই নদীর ভাঙনে হারিয়ে যাচ্ছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ধলোহরাচন্দ্র ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের বাড়িঘর, ফসলী জমি-গাছপালা, রাস্তাঘাট। হুমকিতে পড়ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ হাটবাজার। সম্প্রতি অতিবৃষ্টির কারনে পানি বৃদ্ধির পাশাপাশি গড়াই নদী যেন ক্রমেই ভয়ালরুপ ধারন করেছে। নদীর করাল গ্রাসে যে কোন সময় ধলোহরাচন্দ্র ইউনিয়নের মাঝদিয়া, উলুবাড়িয়া কাশিনাথপুরসহ লাঙ্গলবাধ বাজারের বেশকিছু জায়গা বিলিন হতে পারে। ইতমধ্যে নদীতে হারিয়ে গেছে অনেক ফসলী জমি রাস্তাঘাট, বসতভিটার একাংশ। জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে হুমকিতে পড়বে লাঙ্গলবাধ আদিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াপদা কলোনীসহ বৃহৎ এ বাজারের একটি অংশ। 

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারি প্রকৌশলী এবং শৈলকুপা শাখা কর্মকর্তা  সুলতান মাহমুদ বলেন এলাকাটি নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে জরুরি বরাদ্দ চেয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের সর্বাত্বক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। 

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, লাঙ্গলবাধ আদিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের পিছন পার্শ্ব এবং বৃহৎ বাজার প্রতিরক্ষা বাধে ভয়াল ভাঙন ধরেছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ফাঁটল ধরে নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে ইউনিয়নটির কয়েকটি গ্রামের রাস্তা-ঘাট, ধান, আখ, কলাসহ বিভিন্ন ফসলের জমিও। ইতিমধ্যে বেশকিছু বাড়িঘরের একাংশ এবং বেড়িবাধ, বিলিন হওয়ায় মানুষ বিকল্প রাস্তা হিসাবে ব্যবহার করছে বসতভিটার ভিতর বাহির। নদীতে প্রবল  স্রোত আর ভারি বর্ষনে নিয়মিত ভাঙন কবলিত এলাকা ক্রমেই আগ্রাসী রূপ ধারন করছে। 

কুষ্টিয়া থেকে ভাটিতে আসা গড়াই নদী ঝিনাইদহের শৈলকুপা থেকে লাঙ্গলবাঁধ পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার অংশে প্রবাহিত। ১৯৯০ সালের পর থেকেই বছরের পর বছর গড়াই নদের ভাঙনের করাল গ্রাসে বদলে গেছে ৬নং সারুটিয়া, ৭নং হাকিমপুর ও ৮নং ধলোহরাচন্দ্র ইউনিয়নের বিস্তৃর্ণ এলাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বড়–রিয়া-কৃষ্ণনগর, মাদলা, কাশিনাথপুর, মাজদিয়া, উলুবাড়িয়াসহ লাঙ্গলবাধ বাজার এলাকা।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ পানি উন্নয়নবোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সরোয়ার জাহান সুজন বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে  পর্যবেক্ষন করে যথাযথা ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নিয়মিত গড়াই নদীর ভাঙন কবলিত এলাকায় মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। স্থায়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা না নিলে ভাঙনরোধ করা সম্ভব নয় বলে সে ব্যাপারেও সর্বাত্বক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে জরুরী ভিত্তিতে লাঙ্গলবাধ বাজার এলাকার বেশকিছু জায়গা তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহনে প্রকল্প বরাদ্দ চেয়ে উর্ধতন কর্তপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। 

এবিএন/যবনিকা/জসিম/নির্ঝর

এই বিভাগের আরো সংবাদ