আজকের শিরোনাম :

ইসলামপুরে টিআর কাবিটা কাবিখাসহ কর্মসৃজনের দুদকে অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০১৮, ১২:৫২

জামালপুর, ৩১ জুলাই, এবিনিউজ : জামালপুরের ইসলামপুরে টিআর, কাবিটা ও কাবিখাসহ কর্মসৃজনের দুর্নীতি-অনিয়মের আশ্রয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ইঞ্জু ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে এ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে প্রকাশ টিআর, কাবিটা, কাবিখা, ও সাধারণ বরাদ্দের বিভিন্ন প্রকল্প নামে-বেনামে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে সরকারের অর্থ আত্মসাত করা হয়েছে। ইউএনও মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পিআইও মেহেদি হাসান টিটু, ট্যাগ অফিসার, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারদের যোগসাজসে সরকারি অর্থ আত্মসাত করে। সরকার দলীয় লোকদের অভিযোগ-আলহাজ ফরিদুল হক খান দুলাল এমপি জামায়াত-বিএনপিসহ পছন্দ্রের লোকদের দিয়েছে। বিএনপি থেকে যোগদানের নাম ভাঙিয়ে এমপির সাথে সমঝোতা করে বরাদ্দের টাকা ভাগাভাগির রেওয়াজ প্রত্যক্ষ করছেন।

অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচীর শ্রমিকদের দিয়ে কাজ না করিয়ে ড্রেজার কিংবা ট্রাক্টরে সামান্য মাটি কেটে বাকি টাকা লুট করে। প্রকল্পের বিপরিতে বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণও অস্বাভাবিক। সরকার হতদরিদ্রদের কর্মসৃজন সৃষ্টির জন্য এ প্রকল্প দিলেও হতদরিদ্ররা জানেন না, কার নাম শ্রমিক তালিকায় আছে। কাগজে কলমে শ্রমিক দেখিয়ে বঞ্চিত করেছে অতিদরিদ্র শ্রমিকদের। সচেতন মহলের প্রশ্ন স্থানীয় এমপির কোটায় বরাদ্দের অর্থ কিভাবে তছর”পের সাহস পায়।

এতেই শেষ নয়, নিয়মানুযায়ী প্রকল্পের কাজে সাইন বোর্ড লাগানোর কথা। যাতে জনগণ বুঝতে পারেন কোন প্রকল্পের কত টাকা এবং কাজের মান। অসত উদ্দেশ্যে সাইন বোর্ডও লাগানো হয় নি। ইসলামপুৃর সদর ইউনিয়নের বাইরে বেঙ্গুরা সরকারবাড়ি বায়তুল আমান জামে মসজিদ নির্মাণের জন্য ৪০হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও সেটাও বাস্তবায়ন করা হয়নি।

ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জিয়াউল হক জিয়া জানান, সরকারি বরাদ্দের ব্যাপারে দলীয় নেতাদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ না করেই পছন্দের লোকদের নামে বরাদ্দ দেওয়ায় সরকারি বরাদ্দ নিয়ে নানাবিধ প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এতে বদনাম হচ্ছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং সরকারের।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্থানীয় এমপি ফরিদুল হক খান দুলাল জানান, আমার প্রতিটি প্রকল্পের কাজ ঠিকঠাক মতোই চলছে। তাছাড়া প্রকল্পের কাজের দেখভাল করেন পিআইও ও ইউএনও। কোনো অনিয়ম হলে দেখার দায়িত্ব তাদেরই।

উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মেহেদি হাসান টিটু ও জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা নায়েব আলী জানান, অভিযোগের তদন্ত চলছে। কাজ না করে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এবিএন/শাহ্ জামাল/জসিম/এমসি

এই বিভাগের আরো সংবাদ