আজকের শিরোনাম :

আদমদীঘিতে দুই জনকে পিটিয়ে হত্যা: আটক ৩

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০১৮, ১৭:৩৬

আদমদীঘি (বগুড়া) , ৩০ জুলাই, এবিনিউজ : বগুড়ার আদমদীঘি সান্তাহার রেলওয়ে লোকো কলোনীতে গোলাম রব্বানি সুজন (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ মিলেছে। দীর্ঘ দিনের পারিবারীক কলহ জমি বিক্রির টাকা হাতিয়ে নিতে এই হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে নিহতের বাবা ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের সদ্য সাবেক স্ত্রী সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য উম্মে হাবিবা, স্ত্রীর বড় বোন এবং ছোট ভাই নাসিম পলাতক রয়েছে। আদমদীঘি থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের মেয়ে, সাবেক স্ত্রীর বড় বোন এবং স্ত্রীর বড় বোনের মেয়েকে আটক করেছে। 

জানা গেছে, নওগাঁ সদর উপজেলার সালোবাজ পাহাড়পুর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে গোলাম রব্বানি সুজনের সাথে তার স্ত্রী নওগাঁ সদর উপজেলার কীর্তিপুর ইউনিয়নের দুই নম্বর সংরক্ষিত আসনের সদস্য উম্মে হাবিবা’র জমি-জমা সহ পারিবারীক একাধিক কারণে দ্বন্দ্ব চলে আসছে দীর্ঘ দিন থেকে। এর মধ্যে গত ১৩ দিন পুর্বে স্ত্রী উম্মে হাবিবা তার স্বামী গোলাম রব্বানি সুজনকে তালাক দেয়। এর কিছু দিন পুর্বে ওই দম্পতির একমাত্র মেয়ে সুজাতার সাথে স্বামীর ছাড়াছাড়ি হয়। 

নিহতের মেয়ে সুজাতা জানায়, বাবা ২/৩ দিন পুর্বে সান্তাহার আসে। রাতে ফোনে আমাকে জানান একটা কাজে রাতেই ঢাকায় যাবেন। কিন্তু সকালে খবর পাই যে, আমার মামা নাসিম উদ্দিনের সান্তাহার শহরের লোকো পশ্চিম কলোনীর বাড়ির বাহিরে আমার বাবার লাশ পাওয়া গেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া মর্গে পাঠিয়েছে। আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্য আবু সায়িদ মোঃ ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, এখনো উল্লেখযোগ্য তথ্য মেলেনি। তবে এটি হত্যার ঘটনা। নিহতের জমি বিক্রির মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য সদ্য সাবেক স্ত্রী এবং স্ত্রীর নিকটজনরা এর সাথে জড়িত বলে জানা গেছে। 

অপর দিকে আদমদীঘির চাঁপাপুর ইউনিয়নের বন্তইর গ্রামের জমিতে ঘাস মারা ঔষুধ দেওয়াকে কেন্দ্র করে ইদ্রিস আলীর ছেলে রেজ্জাক (৩২) এর সাথে প্রতিবেশি মৃত রিয়াজের ছেলে হাকিম এর সাথে গত ২০ জুলাই সকালে মারপিটের ঘটে। এতে রেজ্জাক গুরুত্ব আহত হলে প্রথম আদমদীঘি হাসপাতালে নেয়া হয় সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। রোববার দিবাগত রাতে গুরুত্ব আহত রেজ্জাক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এরিপের্টি লেখা পর্যন্ত পৃথক দুটি ঘটনায় থানায় কোন মামলা হয়নি। 

এবিএন/আনোয়ার হোসাইন/জসিম/নির্ঝর

এই বিভাগের আরো সংবাদ