পিরোজপুরে কর্মমূখর কঁচার তীর
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০১৮, ১৩:২৪
কাউখালী, ৩০ জুলাই, এবিনিউজ : পিরোজপুরের কঁচা নদীতে ৮ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মানকে ঘিরে কর্মব্যস্ত সময় পার করছে শ্রমিকেরা। চলছে ফিল্ড নির্মানের কাজ। এখানে কাজ করছে চীনা প্রকৌশলী এবং বাঙ্গালীরা।
পিরোজপুর প্রান্তে বালি ভরাট দিয়ে সেখানে শেট নির্মানের জন্য দম ফেলার সময় মিলছে না প্রকৌশলী ও শ্রমিকদের। বিভিন্ন ধরনের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন মেশিন ও মালবাহি যানবাহনের আনাগোনায় কর্মমূখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে এখানে। সেতুটির নির্মান সামগ্রী রাখা ও শ্রমিকদের থাকার জন্য এই ফিল্ড তৈরী করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে আজমির হোসেন জানান, আমাদের প্রতিষ্ঠান যে কাজ পেয়েছে তা দ্রুত গতি করার চেষ্টা করছি। আমাদের লোকজন আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য।
চীনা অনুদান সহায়তায় বাস্তবায়িতব্য বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের বেকুটিয়া কঁচা নদীর ওপর ৮ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণের জমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন, স্থাপনা অপসারণের প্রাথমিক কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। চীন সরকারের অনুদানে এই গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি নির্মিত হচ্ছে শুনে বরিশাল এবং খুলনা বিভাগের কোটি মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে এক অন্য রকম উৎসাহ-উদ্দীপনা। স্বপ্নের সেতু পদ্মার সাথে প্রায় একই সময় শেষ হবে বেকুটিয়া সেতুর নির্মাণ কাজ।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান গত ৭ নভেম্বর প্রেরিত এক পত্রে দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলীকে বলেছেন।
২০১৬ সালের ১৬ জুন রাজধানীর সড়ক ভবনে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ব্রিজ ম্যানেজমেন্ট উইং-এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পরিমল বিকাশ সূত্রধর এবং চীন সরকারের পক্ষে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা এজেন্সির ডেপুটি ডিরেক্টর জিয়াং জিং ৮ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণের চূড়ান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল মেয়াদে সেতুটি নির্মাণ করা হবে। ৯৯৮ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণে প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৩০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬৫৫ কোটি টাকা চীন সরকার দেবে। মূল সেতুর দুইদিকের সংযোগ সড়কের জমি অধিগ্রহণের মূল্য এবং সড়ক নির্মাণের খরচ বহন করবে বাংলাদেশ সরকার।
এছাড়া নির্মাণ কাজে বিদ্যুৎ, মাটি ভরাট এবং চীনের প্রকৌশলীবৃন্দসহ চীনা কর্মীদের আবাসন ব্যবস্থার দায়িত্ব সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের। পিরোজপুর শহরে ৫ কিলোমিটার পূর্বে কঁচা নদীর ভাটিতে বেকুটিয়া ফেরিঘাটের সন্নিকটে এ সেতু নির্মাণের প্রাথমিক কাজ চলছে। বেকুটিয়া ফেরিঘাট থেকে ৮শ’ ৩৫ মিটার দক্ষিণে এবং কাউখালী প্রান্তের ফেরিঘাট থেকে ১১৫ মিটার উত্তরে ১.৪৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১৩.৪ মিটার প্রশস্ত এবং ব্রিজের উভয়পাশে ১.৬ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে। যাবতীয় নদী শাসন, আবহাওয়া বাতাসের গতি নদী ভাঙন বিষয়ে জরিপের জন্য চীনা বিশেষজ্ঞদল কয়েকবার এসে এলাকা ঘুরে সবকিছু চূড়ান্ত করেছে।
এদিকে দীর্ঘদিনের সীমাহীন দুর্ভোগ লাঘব হতে যাওয়ায় এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের মুখেমুখে এখন পদ্মা ও বেকুটিয়া সেতু। বেকুটিয়া সেতুর কাজ সমাপ্ত হলে বেকুটিয়া নৈকাঠী ও চরখালী-টগড়া ফেরি সার্ভিসের আর কোন প্রয়োজন হবে না।
এদিকে দেশের একমাত্র গভীর সমুদ্র বন্দর পায়রা এবং সমুদ্র সৈকত সাগর কন্যা কুয়াকাটার সাথে সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল এবং সমুদ্রবন্দর মংলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করবে এই বেকুটিয়া সেতুটি। এবিএন/সৈয়দ বশির আহম্মেদ/জসিম/নির্ঝর
পিরোজপুর প্রান্তে বালি ভরাট দিয়ে সেখানে শেট নির্মানের জন্য দম ফেলার সময় মিলছে না প্রকৌশলী ও শ্রমিকদের। বিভিন্ন ধরনের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন মেশিন ও মালবাহি যানবাহনের আনাগোনায় কর্মমূখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে এখানে। সেতুটির নির্মান সামগ্রী রাখা ও শ্রমিকদের থাকার জন্য এই ফিল্ড তৈরী করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে আজমির হোসেন জানান, আমাদের প্রতিষ্ঠান যে কাজ পেয়েছে তা দ্রুত গতি করার চেষ্টা করছি। আমাদের লোকজন আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য।
চীনা অনুদান সহায়তায় বাস্তবায়িতব্য বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের বেকুটিয়া কঁচা নদীর ওপর ৮ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণের জমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন, স্থাপনা অপসারণের প্রাথমিক কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। চীন সরকারের অনুদানে এই গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি নির্মিত হচ্ছে শুনে বরিশাল এবং খুলনা বিভাগের কোটি মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে এক অন্য রকম উৎসাহ-উদ্দীপনা। স্বপ্নের সেতু পদ্মার সাথে প্রায় একই সময় শেষ হবে বেকুটিয়া সেতুর নির্মাণ কাজ।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান গত ৭ নভেম্বর প্রেরিত এক পত্রে দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলীকে বলেছেন।
২০১৬ সালের ১৬ জুন রাজধানীর সড়ক ভবনে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ব্রিজ ম্যানেজমেন্ট উইং-এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পরিমল বিকাশ সূত্রধর এবং চীন সরকারের পক্ষে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা এজেন্সির ডেপুটি ডিরেক্টর জিয়াং জিং ৮ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণের চূড়ান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল মেয়াদে সেতুটি নির্মাণ করা হবে। ৯৯৮ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণে প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৩০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬৫৫ কোটি টাকা চীন সরকার দেবে। মূল সেতুর দুইদিকের সংযোগ সড়কের জমি অধিগ্রহণের মূল্য এবং সড়ক নির্মাণের খরচ বহন করবে বাংলাদেশ সরকার।
এছাড়া নির্মাণ কাজে বিদ্যুৎ, মাটি ভরাট এবং চীনের প্রকৌশলীবৃন্দসহ চীনা কর্মীদের আবাসন ব্যবস্থার দায়িত্ব সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের। পিরোজপুর শহরে ৫ কিলোমিটার পূর্বে কঁচা নদীর ভাটিতে বেকুটিয়া ফেরিঘাটের সন্নিকটে এ সেতু নির্মাণের প্রাথমিক কাজ চলছে। বেকুটিয়া ফেরিঘাট থেকে ৮শ’ ৩৫ মিটার দক্ষিণে এবং কাউখালী প্রান্তের ফেরিঘাট থেকে ১১৫ মিটার উত্তরে ১.৪৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১৩.৪ মিটার প্রশস্ত এবং ব্রিজের উভয়পাশে ১.৬ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে। যাবতীয় নদী শাসন, আবহাওয়া বাতাসের গতি নদী ভাঙন বিষয়ে জরিপের জন্য চীনা বিশেষজ্ঞদল কয়েকবার এসে এলাকা ঘুরে সবকিছু চূড়ান্ত করেছে।
এদিকে দীর্ঘদিনের সীমাহীন দুর্ভোগ লাঘব হতে যাওয়ায় এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের মুখেমুখে এখন পদ্মা ও বেকুটিয়া সেতু। বেকুটিয়া সেতুর কাজ সমাপ্ত হলে বেকুটিয়া নৈকাঠী ও চরখালী-টগড়া ফেরি সার্ভিসের আর কোন প্রয়োজন হবে না।
এদিকে দেশের একমাত্র গভীর সমুদ্র বন্দর পায়রা এবং সমুদ্র সৈকত সাগর কন্যা কুয়াকাটার সাথে সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল এবং সমুদ্রবন্দর মংলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করবে এই বেকুটিয়া সেতুটি। এবিএন/সৈয়দ বশির আহম্মেদ/জসিম/নির্ঝর
এই বিভাগের আরো সংবাদ