আজকের শিরোনাম :

ফরিদপুরে শহরতলী সড়কের ছয় জায়গায় ধস

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০১৮, ১৯:৫১

ফরিদপুর, ২৯ জুলাই, এবিনিউজ : ফরিদপুরের শহরতলীর গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কের আনুমানিক ৮০০মিটার  অংশ পাঁচ থেকে সাত ফুট প্রস্থ হয়ে মান্দারতলা খালে  ধসে পড়েছে। গত শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে সম্প্রসারিত পৌর সভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে আলীয়াবাদ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে সেকেনের বাড়ি পর্যন্ত সড়কে।

তিন বছর আগে স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের (এলজিইডি) মালিকানাধীন ওই সড়কটি দুই কিলো মিটার ২৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ওনয় মিটার প্রস্ত বিশিষ্ট। তিনব ছর আগে কার্পেটিং করা হয়। তবে বর্তমানে ওই সড়কটি সম্প্রসালিত ফরিদপুর পৌর সভার মধ্যে পড়েছে।

ওই সড়কের মোল্লাডাঙ্গী থেকে সেকেনের মোড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার অংশের ছয়টি জায়গায় আনুমানিক ৮০০ মিটার অংশ সড়কটির প্রস্থের পাঁচ থেকে সাতফুট অংশ মান্দার তলা খালে ধসে পড়েছে।

এলাকাবাসী, ফরিদপুর পৌরসভা ও স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অভিমত প্রবল বর্ষণ এবং কয়েক মাস আগে পানিউন্নয়ন বোর্ডেও অধিনে মান্দারতলা খালের অপরিকল্পিত খননের কারনে সড়কটি ধসে গেছে। তবে পাউবো কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ মানতে রাজি হয়নি।

সড়কটি দিয়ে চৌহাট্টা, পূর্ব বিলমাহমুদপুর, সেকেনের মোড়, চর সাদীপুর, আয়জদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গি, গজারিয়াসহ অন্তত১৫টিগ্রামের তিন সহ¯্রাধিক লোক যাতায়ত করে। ঐ এলাকার শিক্ষার্থীরা ওই সড়ক দিয়েই বায়তুলআমান আদর্শ একাডেমি, সরকারি রাজেন্দ্র কলেন, সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজ, সরকারি ইয়াছিন কলেজ, ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, আজিজুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা, বায়তুলআমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অন্তত সহ¯্রাধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন ওই সড়ক দিয়ে আসাযাওয়া করে।

এলাকার বাসিন্দা বিলমামুদপুর গ্রামের আব্দুল হক বলেন, মান্দারতলা খাল খাল অপরিকল্পিত ভাবে খনন করা এবং অতি বৃষ্টির কারনে এ সড়কটির ছয়টি জায়গা ধ্বসে গেছে। সড়কটি ধসে পড়ায় এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগে পড়ে ছেন। তিনি বলেন, এখনই ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা না নেওয়া গেলে ওই অংশে সমস্ত সড়কই ধসে যাবে।

ফরিদপুর পৌর সভার মেয়র শেখ মাহাতাব আলী মেথু, কাউন্সিলর মাহফুজুর রহমান মামুন, পৌর সভার সহকারিপ্র কৌশলী সৈয়দ আশরাফ রবিবার বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কটি পরিদর্শন করেন।

ফরিদপুর পৌর সভার মেয়র শেখ মাহাতাব আলী মেথু বলেন, সবকটি যেভাবে ধসে গেছে তাতে মনে হয়েছে অতি বর্ষন এবং খাল খননের সময় সড়কের পাশে পর্যাপ্ত জায়গা না রাখার কারনে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, আপাত তসড়কটি চলাচলের উপযোগী করে তোলা হবে। পরে শুস্ক মৌসুমে পরিপূর্ণ সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এর জন্য অন্তত ৩০ লাখ টাকার প্রয়োজন হবে।

পৌর সভার সহকারি প্রকৌশলী সৈয়দ আশরাফ বলেন, আপাতত বালির বস্তা ফেলে সড়কটি চলাচলের উপযোগী রাখার উদ্যোগ নেওয়া হবে। আগামী দুই এক দিনের মধ্যেই এ কাজ শুরু হবে।

ফরিদপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নূর হোসেন ভূঞাঁ, বিকেল ৫টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, সড়ক ও খাল পুরনো। তবে খালটি চলতি বছর খনন করা হয়েছে। একটি খালের পাশে সড়ক থাকলে যে খানে যে অনুপাতে (রাস্তা যতটুকু প্রস্ত, রাস্তার পাশে তত পরিমাণ জায়গা রাখা) জায় গারাখা উচিত সে শর্ত মানা হয়নি। এজন্য অতি বর্ষণের কারণে সড়কটি ধসে গেছে।

তবে খাল খননের কারনে সড়ক ধসে গেছে এ দাবি নাকচ কওে দিয়ে ফরিদপুর পানিউন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, খাল খননের জন্য সড়ক ধসে যেতে পারেনা। আমি সরজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ ব্যাপারে আমার বক্তব্য দেব।

এবিএন/কে. এম. রুবেল/জসিম/এমসি

এই বিভাগের আরো সংবাদ