বোয়ালমারীতে কুঠিবাড়ি সরকারি খালটি দখলমুক্ত করল প্রশাসন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২০, ১৪:১৮
ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের কুঠিবাড়ি সরকারি খালটি দীর্ঘদিন প্রভাবশালীদের দখলে থাকা অবস্থা থেকে উন্মুক্ত করলো প্রশাসন।
স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ পত্রে মাধ্যমে জানাযায়, উপজেলার ৬নং চতুল ইউনিয়নের ১নং খতিয়াত ভূক্ত ১০১৯৮ নং দাগে ১ একর ৮ শতাংশ জায়গা জুড়ে কুঠিবাড়ি খাল রয়েছে।
গত কয়েক বছর ধরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরীফুজ্জামান লিটু শরীফ তার মৌখিত নিদের্শে তার পছন্দের ব্যক্তিদের ইজারা দেয়। যা সরকারি বিধির পরিপস্থি। খালটি প্রভাবশালীদের হাত থেকে দখল মুক্ত করতে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আবদেন জানান তারা।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( রাজস্ব) মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা জানান, ২০ একরের বেশি সরকারি জলাধার হলে সেটি জেলা প্রশাসন ব্যবহারের অনুমোদন দেয়, কিন্তু এর কম হলে স্থানীয় নির্বাহী অফিসার উপজেলা পরিষদের সঙ্গে সমন্বয় করে ইজারার অনুমোদন দেবে। তবে কোনো ইউপি চেয়ারম্যান কোনো ভাবে অনুমোদন দিতে পারে না।
চতুল ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা মো. রাসেল খান জানান, কতিপক্ষ ব্যক্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে দেখা যায়, কুঠিবাড়ি খালটি ১ একর ৮ শতাংশ জায়গা সরকারি। যা চতুল ও শেখর ইউনিয়নের মৌজায় পড়েছে।
কুঠিবাড়ি খালটি দখলে থাকা জাসদ ফকির জানান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিদের্শে আমরা গত কয়েক বছর খালটি ব্যবহার করছি।
তিনি বলেন, খাল ব্যবহারের বিপরীতে বছরের যে অর্থ প্রদান করি তা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে উন্নয়নে ব্যয় করা হয়।
এ বিষয়ে চতুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরীফুজ্জামান লিটু শরীফ জানান, ওই খালটি আমার পূর্বের চেয়ারম্যানরা যে ভাবে ব্যবহারের অনুমোদন দিতো আমি সে ভাবেই দিয়েছি।
তিনি বলেন, খাল থেকে যে অর্থ আদায় হয় সেটি ওই এলাকার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন কাজে ব্যবহার হয়। আমি বা আমার পরিষদ সেখান থেকে কোনে সুবিধা নেয়নি। বোয়ালমারীর নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ এ বিষয়ে বলেন, সরকারি খাল দখল নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হলে আমি উভয় পক্ষকে ডেকে নিদের্শনা দিয়েছি কেউ সেখানে যাবে না। সরকারি সম্পদ প্রশাসনই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে, অন্যকেউ নয়। এবিএন/কে এম রুবেল/গালিব/জসিম
তিনি বলেন, খাল থেকে যে অর্থ আদায় হয় সেটি ওই এলাকার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন কাজে ব্যবহার হয়। আমি বা আমার পরিষদ সেখান থেকে কোনে সুবিধা নেয়নি। বোয়ালমারীর নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ এ বিষয়ে বলেন, সরকারি খাল দখল নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হলে আমি উভয় পক্ষকে ডেকে নিদের্শনা দিয়েছি কেউ সেখানে যাবে না। সরকারি সম্পদ প্রশাসনই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে, অন্যকেউ নয়। এবিএন/কে এম রুবেল/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ