বদলগাছীতে ড্রেনের অভাবে জলাবদ্ধতায় হাজার হাজার ফসলি জমি অনাবাদি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২০, ১৪:১৩
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় আধা কি. মি. একটি ড্রেনের অভাবে জলাবদ্ধতায় হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি অনাবাদি পড়ে থাকে। ওই মাঠের পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা হলে জমিগুলোতে তিনটি ফসল আবাদ করা সম্ভব হবে বলে জানায় স্থানীয় কৃষকরা। এতে করে এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে বলে মনে করছেন তারা।
বিষয়টি নিয়ে কৃষিবান্ধব সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের ডাঙ্গীর মাঠের পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি ড্রেনেজ ব্যবস্থা ছিল। চাংলা পাকা সড়কের ছোট ব্রীজ দিয়ে মাঠের পানি ওই ড্রেন দিয়ে বের হয়ে মাঠের পশ্চিম পাশ দিয়ে শেরপুর ও গাবনা খারির দিয়ে পানি নিস্কাশন হত।
এতে করে ওই মাঠের চার পাশের গ্রাম, তেজাপাড়া, কোমারপুর, চাংলা, কাদিবাড়ী, জিধিরপুর কয়েকটি গ্রামের প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার বিঘা জমির ফসলের কোন সমস্যা হতো না। ফলে মাঠে বোরো, আমন ও পাটের আবাদ করা হতো।
কিন্তু ২০ থেকে ২৫ বছর আগে চাংলা গ্রামের শেষ প্রান্তে ওই ড্রেনের মুখ বন্ধ করে মাটি ভরাট করে দিয়ে সেখানে একটি বাড়ি নির্মাণ করা হয়।
নওগাঁ-৩ বদলগাছী-মহাদেবপুর আসনের ততকালিন এমপি ডা. আকরাম হোসেন চৌধুরী ডাঙ্গীর মাঠের পানি নিস্কাশনের জন্য তেজাপাড়া স্কুলের উত্তর পাশদিয়ে ছোট যমুনা নদীতে অস্থায়ীভাবে একটি ড্রেন কেটেছিল বর্তমানে ড্রেনটি বন্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে পানি বের হয়ে যাওয়ার বিকল্প কোন পথ না থাকায় মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে করে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কারণে মাঠে বোরো, আমন ও পাটের ফসল ডুবে যায়। এভাবে কৃষকরা প্রতি বছর ক্ষতিগ্রস্থ হতে শুরু হলে আমনের আবাদ করা ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে আবার পাটের আবাদ করাও ছেড়ে দেন কৃষকরা।
সর্বশেষ শুধু একটিমাত্র বোরো আবাদ করা হয়। কিন্তু বৃষ্টি হলে বোরো আবাদও হাঁটু পানির মধ্যে কাটতে হয়। যার কারনে তিন ফসলি জমি এখন এক ফসলে পরিনত হয়েছে। পানি জমে থাকায় জমিতে কচুরি পানার স্তুপ জন্মেছে। খাবারের জন্য স্থানীয়রা এ মাঠ থেকে মাছ শিকার করে থাকেন। এ মাঠের আদা কিলোমিটার ড্রেন খনন করে পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা করা হলে আবারও জমিতে তিন ফসলের আবাদ করা সম্ভব হবে।
চাংলা গ্রামের কৃষক পলাশ হোসেন বলেন, গত ২০ থেকে ২৫ বছর আগে বোরো, আমন ও পাটের ফসল হতো। কিন্তু বর্তমানে জলাবদ্ধতা কারণে শুধু বোরো ফসল করা হয়। ডুবে যাওয়ার কারণে অন্য কোন আবাদ করা সম্ভব হয় না একই গ্রামের কৃষক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ড্রেন খননের সময় যদি আমাদের দল বদ্ধ ভাবে কাজ করতে হয় সেক্ষেত্রে আমরা সরকারকে সহযোগিতা করব। জলাবদ্ধতার কারণে সারা বছরই কয়েকশ বিঘা জমিতে পানি জমে থাকে। ড্রেন খনন করা হলে কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার কৃষকরা উপকৃত হবেন। আমাদের সবার জন্যই সুবিধা হবে। তেজাপাড়া গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা বাবর আলী তৎকালীন এমপি ডাঃ আকরাম হোসেন যে ড্রেন কেটে ছোট যমুনা নদীতে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্তা নিয়েছিল বাঁধে সুইচগেট উচু থাকার কারণে সম্ভব হযনি। কোমারপুর গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক, জিধিরপুর গ্রামের আব্দুস সালাম, তেজাপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমসহ বয়োজ্যেষ্ঠ লোকেরা বলেন, মাঠের পৃর্ব পাশ দিয়ে প্রায় আধা কিলোমিটার ড্রেন খনন করে ছোট যমুনা নদীতে পানি নামার ব্যবস্থা করতে হবে। নদীর মুখে বাঁধ কেটে সেখানে একটি স্লুইচগেট করা হলে নদীতে পানি নামানো হলে জলাবদ্ধা দুর হবে। আর স্লুইচগেট থাকার কারণে বন্যার সময় মাঠে পানি প্রবেশ করতে পারবে না। আর সামান্য বৃষ্টিতেই বোরো মৌসুমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে করে বোরো ফসল ডুবে যায়। গত বছর হাঁটু সমান পানিতে বোরো ধান কাটতে হয়েছে আমাদের প্রানের দাবী এই ডাঙ্গীর মাঠের পানি নিস্কাশন করে ফসল ফুলানোর ব্যবস্তা করে দিতে। সদর ইউপিচেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বলেন, ডাঙ্গীর মাঠের পানি জরুরীভাবে নিস্কাশনের ব্যবস্থা করা হলে হাজার হাজার বিঘা জমিতে ২টি ফসল করা সম্ভব। বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহা. আবু তাহির বলেন, উপজেলা আধাইপুর ইউপির হলফলা বিলের পানি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল বিলের চার পাশের লোকজন নিয়ে পানি নিষ্কাষনে ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাঠটিতে এখন সারা বছর ফসল ফলানো সম্ভব হবে। আমি ডাঙ্গীর মাঠ পরিদর্শণ করে স্থানীয় জনসাধার কে সাথে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্তা নেওয়া হবে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দীন তরফদার সেলিম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার শেখ হাসিনার নিদেশ বাংলাদেশের কোথাও যেন কোন পৈত্রিক জমি না থাকে। সেই আলোকে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় প্রকল্পের মাধ্যমে হলেও জলাবদ্ধতা দূরীকরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এবিএন/হাফিজার রহমান/গালিব/জসিম
চাংলা গ্রামের কৃষক পলাশ হোসেন বলেন, গত ২০ থেকে ২৫ বছর আগে বোরো, আমন ও পাটের ফসল হতো। কিন্তু বর্তমানে জলাবদ্ধতা কারণে শুধু বোরো ফসল করা হয়। ডুবে যাওয়ার কারণে অন্য কোন আবাদ করা সম্ভব হয় না একই গ্রামের কৃষক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ড্রেন খননের সময় যদি আমাদের দল বদ্ধ ভাবে কাজ করতে হয় সেক্ষেত্রে আমরা সরকারকে সহযোগিতা করব। জলাবদ্ধতার কারণে সারা বছরই কয়েকশ বিঘা জমিতে পানি জমে থাকে। ড্রেন খনন করা হলে কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার কৃষকরা উপকৃত হবেন। আমাদের সবার জন্যই সুবিধা হবে। তেজাপাড়া গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা বাবর আলী তৎকালীন এমপি ডাঃ আকরাম হোসেন যে ড্রেন কেটে ছোট যমুনা নদীতে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্তা নিয়েছিল বাঁধে সুইচগেট উচু থাকার কারণে সম্ভব হযনি। কোমারপুর গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক, জিধিরপুর গ্রামের আব্দুস সালাম, তেজাপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমসহ বয়োজ্যেষ্ঠ লোকেরা বলেন, মাঠের পৃর্ব পাশ দিয়ে প্রায় আধা কিলোমিটার ড্রেন খনন করে ছোট যমুনা নদীতে পানি নামার ব্যবস্থা করতে হবে। নদীর মুখে বাঁধ কেটে সেখানে একটি স্লুইচগেট করা হলে নদীতে পানি নামানো হলে জলাবদ্ধা দুর হবে। আর স্লুইচগেট থাকার কারণে বন্যার সময় মাঠে পানি প্রবেশ করতে পারবে না। আর সামান্য বৃষ্টিতেই বোরো মৌসুমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে করে বোরো ফসল ডুবে যায়। গত বছর হাঁটু সমান পানিতে বোরো ধান কাটতে হয়েছে আমাদের প্রানের দাবী এই ডাঙ্গীর মাঠের পানি নিস্কাশন করে ফসল ফুলানোর ব্যবস্তা করে দিতে। সদর ইউপিচেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বলেন, ডাঙ্গীর মাঠের পানি জরুরীভাবে নিস্কাশনের ব্যবস্থা করা হলে হাজার হাজার বিঘা জমিতে ২টি ফসল করা সম্ভব। বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহা. আবু তাহির বলেন, উপজেলা আধাইপুর ইউপির হলফলা বিলের পানি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল বিলের চার পাশের লোকজন নিয়ে পানি নিষ্কাষনে ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাঠটিতে এখন সারা বছর ফসল ফলানো সম্ভব হবে। আমি ডাঙ্গীর মাঠ পরিদর্শণ করে স্থানীয় জনসাধার কে সাথে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্তা নেওয়া হবে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দীন তরফদার সেলিম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার শেখ হাসিনার নিদেশ বাংলাদেশের কোথাও যেন কোন পৈত্রিক জমি না থাকে। সেই আলোকে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় প্রকল্পের মাধ্যমে হলেও জলাবদ্ধতা দূরীকরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এবিএন/হাফিজার রহমান/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ