আজকের শিরোনাম :

নারায়ণগঞ্জে ফার্নিচার কারখানায় ভয়াবহ আগুন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২০, ০০:১৬

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি ফার্নিচার কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার রূপসী কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত হাতিম স্টিল স্ট্রাকচার লিমিটেড নামক ওই কারখানায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

শের আলী নামে কারখানার এক নিরাপত্তা কর্মী জানান, তিনতলা বিশিষ্ট এই ভবনটির নিচতলায় স্টিল ও কাঠের ফার্নিচার তৈরি হয়। উপর তলাটি গোডাউন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সেখানেই আগুন ছড়িয়েছে বেশি। পুরো ভবনে প্রায় ১২ থেকে ১৫ জন শ্রমিক কাজ করে বলে জানান তিনি।

আগুন নিয়ন্ত্রণে কাঞ্চন, আড়াইহাজার, পূর্বাচল ও ডেমরা ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন।

তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে চারটি স্টেশনের ১৫টি ইউনিটকে পাঠানো হয়েছে। ভবনটির তৃতীয় তলায় আগুনের মাত্রা বেশি। কারখানার ভেতরে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। তবে কারখানার ভেতরে কেউ আছে বলে জানা যায়নি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ নিখোঁজ বা হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

ফায়ার সার্ভিসের হেডকোয়ার্টারের অপারেশন পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান জানান, স্টিল স্ট্রাকচার নির্মিত হাতিম কারখানার ফার্নিচার কাঠের ফার্নিচার তৈরি হতো। ফার্নিচার তৈরির জন্য যেসব পদার্থ রাখা হয় তা খুবই দাহ্য পদার্থ। স্প্রিট, বার্নিশ, ফার্নেস অয়েল, কাঠের গুড়া, প্লাইউড, নারিকেলের ছোবাসহ বিভিন্ন সামগ্রী থাকার কারণে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, সন্ধ্যা সাতটা ৫৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন। পরপর আরও ১০টি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। মোট ১৪টি ইউনিট প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। রাত পৌনে দশটায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ভেতরের আগুন নেভাতে আরও সময় লাগবে।

তিনি আরও বলেন প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তবে এ ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তের পর সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাবে আগুন লাগার কারণ। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে নিরূপণ করা হবে।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ