আজকের শিরোনাম :

আবাসন প্রকল্পের আড়ালে পূর্বাচল মডেল স্যাটেলাইট টাউনের প্রতারণা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২০, ০০:৩৫

আবাসন প্রকল্পের আড়ালে এমএলএম ব্যবসা খুলে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে পূর্বাচল মডেল স্যাটেলাইট টাউন। আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাবেরও সদস্য নয় কোম্পানিটি। লাখ টাকা বিনিয়োগে মাসিক ৬ হাজার টাকা মুনাফা কিংবা ১৬ মাস শেষে আসল টাকা অথবা জমি পাবেন গ্রাহক, এই প্রলোভনে সর্বশান্ত হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ।

ঢাকা থেকে ৩০ কিলোমিটারের দূরত্বে নারায়ণগঞ্জ-রূপগঞ্জের দাউদপুরে আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় গড়ে তোলা হবে বহুতল ভবন, থাকবে বিলাসবহুল জীবনের সব আয়োজন। এসব চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ করা হয় আগ্রহীদের।

ক্ষতিগ্রস্তদের বেশিরভাগই সেনা, নৌ, বিমান ও পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। জীবনের শেষ সম্বল পেনশনের টাকা হারিয়ে দিশেহারা তারা। অফিস বন্ধ থাকায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মালিকপক্ষকেও।

এক ভুক্তভোগী জানান, এমএলএম পদ্ধতিতেও সদস্য সংগ্রহ করে এই প্রতারকচক্র। ডান-বাম মিলিয়ে বিনিয়োগ আনলে পাবেন ১০ ভাগ কমিশন। তাই অতি আশায় পরিবারের পাশাপাশি আত্মীয় স্বজনকেও টেনে আনেন গ্রাহকরা।

মূল অভিযোগ পূর্বাচল মডেল স্যাটেলাইট প্রশাসক ওয়াহেদুল ইসলাম রানা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসিবুল ইসলাম জয়ের বিরুদ্ধে। জয় রাজনৈতিক দলের বড় পদে ছিলেন।

সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে পরিবর্তন হয় কোম্পানির নাম, দেয়া হয় মেগা স্যাটেলাইট সিটি। জয় এবার সামনে রাখেন আব্দুর রহমান দারিয়া, রেজাউল করিম এবং পিংকি আক্তারকে। এদের বিরুদ্ধে আগেও এমএলএম কোম্পানি খুলে প্রতারণা অভিযোগ রয়েছে।

গ্রাহকদের আড়াল করতে একের পর এক অফিসও পরিবর্তন করেন জয়। প্রথমে বনানী ১৭ নম্বর রোডের এক ভবনে। এরপর ১৯ নম্বর রোডের ২২ নম্বর ভবনে এবং পরে কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ের প্রিয়প্রাঙ্গনে অফিস করলেও এখন উধাও। জালিয়াতি করেন বাসা ভাড়া নিয়েও।

মেগা স্যাটেলাইটের হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন জানান, পরিচালক আর এজেন্টদের কমিশন দেয়ার পর বাকি টাকা জমা হয় হাসিবুল ইসলাম জয় এবং রানার অ্যাকাউন্টে।

সরাসরি চেষ্টার পাশাপাশি ফোনে যোগাযোগ করেও কোম্পানির পরিচালকদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি তবে হাসিবুল ইসলাম জয় মেগা স্যাটেলাইটের সাথে নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেন।

কয়েকজন গ্রাহককে কমিশন এবং মুনাফা বাবদ চেক দিয়েছিলেন। সেগুলোও ক্যাশ করা যায়নি। চেক জালিয়াতি এবং প্রতারণার অভিযোগে জয়ের বিরুদ্ধে জিডি’র পাশাপাশি আদালতে মামলাও করেছেন ভুক্তভোগীরা।

এসব অভিযোগে প্রতারণা এবং জালিয়াতির একটি মামলা তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিআইবি।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ