আজকের শিরোনাম :

পরকীয়ার টানে প্রবাসীর সর্বস্ব নিয়ে স্ত্রী উধাও, দিশেহারা প্রবাসী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০২০, ১৭:৫৮

ফরিদপুর পরকীয়ার বলি হয়ে এক প্রবাসীর জীবন এখন দুর্বীসহ।জীবনের ঘাত-প্রতিঘাত আর অনিশ্চয়তার চোরাবালিতে পড়ে আজ সে নিঃস্ব। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার হাজীডাঙ্গি গ্রামে। উক্ত গ্রামের কুয়েত প্রবাসী যুবক বাবুল মিয়ার স্ত্রী পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে এলাকার আরেক যুবকের হাত ধরে অজানার উদ্যেশ্যে পাড়ি জমিয়েছে। 

সেই সাথে ওই যুবকের প্রবাস থেকে পাঠানো সর্বস্বও হাতিয়ে নিয়েছে। টাকা-পয়সা, মূল্যবান স্বনর্-গহনাসহ জীবনের সঞ্চিত  সব কিছু হারিয়ে বাবুল মিয়া এখন পাগলপ্রায়। জানা গেছে, উপজেলার হানিফ হাজী ডাঙ্গী গ্রামের কুয়েত প্রবাসী বাবুল মিয়ার সাথে সাত বছর পূর্বে একই উপজেলার নয়রশি নতুন বাজার গ্রামের আলম শেখের কন্যা আলোকি আক্তার(২৬) এর সাথে পারিবারিক ভাবে তাদের বিবাহ হয়।বিয়ের পর বেশ কিছু দিন তাদের সুখের সংসার ভালই কাটছিল্। পরে সংসারের স্বচ্ছলতা ও স্ত্রীর মুখে হাসি ফুটাতে  বাবুল মিয়া  স্ত্রী আলোকি আক্তারকে নিজ বাড়ীতে মায়ের কাছে রেখে কুয়েতে পাড়ি জমান। কুয়েত থেকে প্রতি মাসে স্ত্রীর খরচের জন্য তার শাশুড়ির নামে বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা-পয়সা পাঠাতেন। কিন্ত স্ত্রীর চাহিদা দিন দিন বৃদ্বি পেতে থাকে। 

বছর ঘুরতে না ঘুরতেই স্ত্রীর আবদার মেটাতে শাশুড়ির কাছে লক্ষ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছেন। বাবুল মিয়াও সরল বিশ্বাসে অকাতরে টাকা-পয়সা দিয়ে গেছেন।এরই মধ্যে স্ত্রী আলোকি আক্তার উপজেলার শোলডুবি গ্রামের শফিক বেপারীর ছেলে আলমগীর বেপারীর সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এরই মধ্যে প্রবাসে থাকায় বাবুল মিয়ার অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে তাকে প্রায় নিঃস্ব করে ফেলে।একপর্যায় আলোকি আক্তার সুখের আশায় প্রেমিক আলমগীরের হাত ধরে অজানার উদ্যেশ্যে পাড়ি জমায়। 

খবর পেয়ে সম্প্রতি বাবুল মিয়া কুয়েত থেকে দেশে এসে জানতে পারেন তার স্ত্রী  পরকীয়ার টানে প্রেমিক আলমগীরের হাত ধরে পালিয়ে গেছে। এতে এক বুক হতাশা আর জীবনের সর্বস্ব খুইয়ে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। বাবুল মিয়া বলেন আমি সাড়ে চার বছর কুয়েতে ছিলাম।সাড়ে চার বছরে আমি আমার স্ত্রী ও শাশুড়ির কাছে ২০ লক্ষাধিক টাকা  পাঠিয়েছি।এছাড়া আমি তাকে প্রায় ১০ ভরি স্বর্নালংকার দিয়েছি। 

সে আমার সব কিছু নিয়ে আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে।আমি প্রবাসে যা আয় করেছি তার ষোল আনাই আমি আমার শাশুড়ি ও স্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছি।তিনি বলেন আমি এখন কি করব বুঝে উঠে পারতেছিনা। তবে আমি ওর মত কাল নাগিনীর উপযুক্ত বিচার দেখে যেতে চাই।যেনো ভবিষ্যৎ কোন স্ত্রী প্রবাসীদের ঘাম ঝরানো অর্থ নষ্ট  করে অন্যের সাথে পালিয়ে যাওয়ার দুঃসাহস না দেখে।

এবিএন/মাহমুদুর রহমান তুরান/জসিম/অসীম রায় 
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ