আজকের শিরোনাম :

খাজরায় কর্মসংস্থান শ্রমিকদের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২০, ০১:৩৮

আশাশুনি (সাতক্ষীরা): আশাশুনি উপজেলার খাজরায় অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির শ্রমিকদের মজুরীর টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শ্রমিক সরদার ও গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে। 

খাজরা ইউনিয়নের ফটিকখালী, দেয়াবর্ষিয়া, খালিয়া, পারিশামারী গ্রামের ৩৩ জন শ্রমিক ৪০ দিন কাজ করেন। কাজ শেষে ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেন তারা। ব্যাংকের সামনে গেলেই শ্রমিক সরদার নামে পরিচিত দেয়াবর্ষিয়া গ্রামের স্বপন কুমার মন্ডল, তপন কুমার মন্ডল ও মঙ্গল কুমার মন্ডল এবং গ্রাম পুলিশ মিজানুর শ্রমিকদের জানিয়ে দেন তাদের প্রত্যেকের ৮০০০ টাকা করে ব্যাংক থেকে দেওয়া হবে, টাকা উত্তোলনের পর তাদের কাছে ২০০০ টাকা করে ফেরৎ দিতে হবে। কাগজপত্র ঠিক করতে ও বিভিন্ন খরচ বাবদ অফিসে টাকা দিতে হবে। 

দিতে রাজী হলে চৌকিদার কাগজপত্র এনে শ্রমিকদের হাতে দেয়। এরপর ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের পর ব্যাংকের সামনে থেকে ও পথে ভ্যানে বসে টাকা আদায় করে নেওয়া হয়। ৩৩ জনের মধ্যে সুমিত্রা, জ্যো জামিলা টাকা দেয়নি বাকীরা ২০০০ টাকা করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে সরেজমিন গেলে শ্রমিক সন্ধ্যারানী ও দেবদুলালসহ অনেকে ২০০০ টাকা করে তাদের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। টাকা না দিলে মজুরীর টাকা উঠবেনা, তাদের সাথে গোলযোগ করে কি লাভ এমন চিন্তায় তারা টাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান। 

এব্যাপারে গ্রাম পুলিশ মিজানুর রহমানের সাথে মোবাইল কথা বললে, তিনি ইউনিয়ন পরিষদের কাজে ব্যস্ত আছে পরে রিং ব্যাক করে কথা বলবে বলে জানালেও কথা বলেননি। অভিযুক্ত স্বপন ও অন্যদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ খান বলেন, ব্যাংকের মাধ্যমে শ্রমিকদের টাকা দেওয়া হয়, অন্য কারো হাতে টাকা যাওয়ার সুযোগ নেই। কেউ কাউকে টাকা দিয়েছে এমন কোন অভিযোগ তাদের কাছে কেউ করেনি বলে তিনি জানান। কাজের শ্রমিকসহ এলাকাবাসীর দাবী, শ্রমিকদের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তারা জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন। 


এবিএন/ জি এম মুজিবুর রহমান/জসিম/অসীম রায়      

এই বিভাগের আরো সংবাদ