আজকের শিরোনাম :

তারাগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে বাল্যবিয়ের অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ মে ২০১৮, ১৭:৩৩

তারাগঞ্জ (রংপুর), ১২ মে, এবিনিউজ: রংপুরের তারাগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় এক নবম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রীর বাল্য বিয়ে হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে ওই বাল্য বিয়ে হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামে।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, ইকরচালী ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের দুলাল হোসেনর ইকরচালী উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণি পড়–য়া মেয়ে নিশি মনির বিয়ে ঠিক হয় মন্ডলপাড়া গ্রামের আবু আদম (১৬) নামের এক ছেলে সঙ্গে। এই বাল্য বিয়ের বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামকে জানানো। কিন্তু তিনি বাল্য বিয়ে বন্ধ না করে উল্টো নিজে দাড়িয়ে থেকে ওই বিয়ে দেন। পরে বিষয়টি তারাগঞ্জের ইউএনওকে ও জানানো হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই গ্রামের একজন বলেন, ঘটনাটি জানার পর চেয়ারম্যান মেয়ের পক্ষকে পুলিশের ভয় দেখিয়ে প্রথমে বিয়ে বন্ধ করার চেষ্টা করে। পরে টাকা পেয়ে চেয়ারম্যান নিজেই দাঁড়িয়ে থেকে ওই বাল্য বিয়ে দেন। তিনি বলেন, রক্ষক যখন ভক্ষক তখন সমাজ থেকে বাল্য বিয়ে কোথায় থেকে দূর হবে।

তারাগঞ্জের সামাজিক সংগঠন ‘আমরাও পারি’ সদস্য মাহাফুজুর রহমান বলেন, টগবগ টগবগ ঘোড়ায় চড়ে রাজার কুমার এল রূপকথার এই রাজকুমারকে স্বপ্ন দেখার আগেই বাংলাদেশের কিশোরী রাজকন্যারা নিজেদের আবিষ্কার করে শ্বশুরবাড়ির চার দেয়ালের মধ্যে। শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুতির আগেই ঘটে স্বামীর সঙ্গে যৌনমিলনের অভিজ্ঞতা।

 তারপর শুরু হয় নানা জটিলতা। দেশে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আইন আছে।

সরকার এবং এনজিওগুলো এ বিষয়ে নানা কর্মসূচিও চালাচ্ছেন। কিন্তু থেমে নেই বাল্যবিবাহ  প্রতিনিয়ত সমাজে ঘটছেই বাল্যবিয়ের ঘটনা। বেশির ভাগ বিয়ে আইনের তোয়াক্কা এড়িয়ে এবং গোপনে হচ্ছে। প্রশাসনের নাকের ডগায়, অনেক ক্ষেত্রে  স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায়ই বাল্যবিবাহ হচ্ছে দিনের পর দিন। এই অপরাধে অভিভাবক বা অন্যদের আইনের আওতায় শাস্তি পাওয়ার ঘটনা খুবই নগন্য। আর শাস্তি দেওয়া হলেও তা এতই সামান্য যে কেউ আর এতে ভীত নয়।

ইকরচালী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন,.নিশি মনি আমার বিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। তবে বিয়ের ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা।
এ বিষয়ে ইকরচালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যানি।
    
ইউএনও জিলুফা সুলতানা বলেন, ‘ওই ছাত্রীর বাল্য বিয়ে’ বিষয়টি আমি মুঠোফোনে জেনেছি। চেয়ারম্যানসহ ওই বাল্য বিয়েতে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এবিএন/বিপ্লব হোসেন অপু/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ