নববধূর পরকীয়ার বলি চালক বেলাল
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২০, ২০:১৯
লালমনিরহাট প্রতিনিধি : লালমনিরহাটের মাইক্রো চালক বেলাল হোসেন হত্যা মামলার রহস্য বের করেছে পুলিশ। বেলালের হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তার বড় ভায়রা ( স্ত্রীর দুলাভাই) আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নিজ সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা।
গ্রেফতার আলমগীর হোসেন লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোস্তফি এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে। তিনি নিহত চালক বেলাল হোসেনের সদ্য বিবাহিত স্ত্রী লাবনী বেগমের দুলাভাই। নিহত মাইক্রো চালক বেলাল হোসেন লালমনিরহাট সদর উপজেলার হাড়িভাঙ্গা এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন, বিয়ের আগে থেকে শ্যালিকা লাবনী বেগমের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন দুলাভাই আলমগীর হোসেন। গত ২৪ জুন হঠাৎ করে পারিবারিক ভাবে লাবনীর সাথে বিয়ে হয় মাইক্রো চালক বেলালের। এ বিয়ে মেনে নিতে পারেনি নববধূ লাবনীর পরকীয়া প্রেমিক দুলাভাই আলমগীর হোসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বেলালকে হত্যার পরিকল্পনা করে ঘাতক আলমগীর।
গত ২৫ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে আলমগীর হোসেন চালক বেলালকে চেতনানাশক ওষুধ খাওয়ায়। এরপর তাকে নিয়ে আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের যুগিটারী গ্রামে গলা কেটে হত্যা করে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কের পাশে পাটক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যায় ঘাতক আলমগীর ও তার সহযোগিরা। এর দুই দিন পরে ২৭ জুলাই স্থানীয়দের খবরে বেলালের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে আদিতমারী থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় পরদিন নিহত বেলালের মা বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ক্লু-লেস এ হত্যা মামলাটি আদিতমারী থানার উপ পরিদর্শক আনিচুর রহমান আনিচ তদন্ত করে সন্দেহজনক ভাবে বেলালের নববধূ (স্ত্রী) লাবনী বেগমকে আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্যমত গত সোমবার সদর উপজেলার বড়বাড়ি থেকে ঘাতক দুলাভাই আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার আলমগীর হোসেনের দেয়া তথ্য মতে হত্যার কাজে ব্যবহারিত ছুরিও উদ্ধার করে পুলিশ। ঘাতক আলমগীর হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলেও প্রেস ব্রিফিংয়ে নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা।
এবিএন/আসাদুজ্জামান সাজু/জসিম/অসীম রায়
এই বিভাগের আরো সংবাদ