ফরিদপুরে মানি লন্ডারিং মামলায় গ্রেপ্তার, বিল্লার হোসেন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০২০, ১২:১৭
ফরিদপুর মানি লন্ডারিং মামলায় ফরিদপুরে এবার গ্রেপ্তার হলেন শ্রমিক লীগ নেতা বিল্লাল হোসেন (৫৪)। গত শুক্রবার বিকেলে ফরিদপুর শহরতলীর হাড়োকান্দি এলাকায় বিল্লালের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল। সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুনীল কর্মকার বলেন, ঢাকার কাফরুল থানায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এর দায়ের করা মানি লন্ডারিং মামলায় সিআইডি পুলিশের চাহিদা অনুযায়ী গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিল্লালকে। বিল্লাল ফরিদপুর শহরতলীর হাড়োকান্দি এলাকার বাসিন্দা মৃত শেখ ইছামুদ্দিনের ছেলে। তিনি জেলা শ্রমিক লীগের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, ডিবি পুলিশ শুক্রবার বিকেলে বেল্লালকে কোতয়ালী থানায় সোপর্দ করেছে। শনিবার তাকে জেলার মূখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে প্রেরণ করা হবে।
প্রসঙ্গত শহর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তাঁর ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) ইমতিয়াজ হাসান রুবেল বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারিং এর অভিযোগে মামলা করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ বাদী হয়ে গত ২৬ জুন ঢাকার কাফরুল থানায় মানি লন্ডালিং এর অভিযোগ এনে এ মামলাটি দায়ের করেন।
এ মানি লন্ডারিং মামলায় ওই দুই ভায়ের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ অবৈধ উপায়ে উপার্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন সংশোধনী ২০১৫ এর ৪(২) ধারায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
প্রসঙ্গত সিআইডি এ মামলায় দুই ভায়ের ১০দিনের রিমান্ড চান। গত ১৩ জুলাই ভাচুয়াল কোটের মাধ্যমে এ রিমান্ড শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় ফরিদপুর কারাগারে থাকা অবস্থায় জেল গেটে জুম অ্যাপসের মাধ্যমে এ শুনানিতে অংশ নেন সাজ্জাদ ও ইমতিয়াজ। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১৯ জুলাই ভোরে সিআইডি দুই ভাইকে ফরিদপুর জেলখানা থেকে তাদের জিম্মায় নেন। তাদের সারাসরি ঢাকার মালিবাগস্থ সিআইডির কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। দুইদিন রিমান্ড শেষে সিআইডি গত ২১ জুলাই পুণরায় ১০দিন করে রিমান্ড চাইলে আদালত তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। দুই দফায় পাঁচদিন রিমান্ড শুনানী শেষে গত শুক্রবার রুবেল ও ররকত মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। শুক্রবার রাতে জবানবন্দি গ্রহণের পর আদালতের নির্দেশে ওই দুই ভাইকে কেরানীগঞ্জ জেলখানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত গত ১৬ মে রাতে ফরিদপুর জেলা আ.লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটে। সুবল সাহার বাড়ি শহরের গোয়ালচামট মহল্লার মোল্লা বাড়ি সড়কে অবস্থিত। এ ঘটনায় গত ১৮ মে সুবল সাহা অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিদের আসামি করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি মামলাদায়ের করেন।
গত ৭ জুন রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার মামলার আসামী হিসেবে শহরের বদরপুরসহ বিভিন্ন মহল্লায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ সাজ্জাদ, ইমতিয়াজসহ মোট নয়জনকে গ্রেপ্তার করে। এবিএন/কে এম রুবেল/অসীম রায়/জসিম
গত ৭ জুন রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার মামলার আসামী হিসেবে শহরের বদরপুরসহ বিভিন্ন মহল্লায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ সাজ্জাদ, ইমতিয়াজসহ মোট নয়জনকে গ্রেপ্তার করে। এবিএন/কে এম রুবেল/অসীম রায়/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ