আজকের শিরোনাম :

বেড়ায় যমুনার নদীর পানি বৃদ্ধি, পানিবন্দি হাজারো মানুষ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২০, ১১:৩৭

পদ্মা-যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় পাবনার বেড়া উপলোর নদী তীরবর্তী এলাকাসমূহ দ্বিতীয় দফা বন্যা কবলিত হয়ে পরেছে।

ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে উপজেলার চরাঞ্চলের নিচু এলাকার জমির মৌসুমি ফসলাদিসহ বাড়ি-ঘরে বন্যার পানি উঠে গবাদি পশু নিয়ে হাজার হাজার মানুষ পানি বন্ধি হয়ে দুর্বিসহ দিন যাপন করছেন। প্রতিদিনই পদ্মা-যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট ডুবে যাচ্ছে।

গত কয়েক দিনের ব্যবধানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরে বেড়া পৌরসভার ও বিভিন্ন ইউনিয়নের যমুনা নদীর তীরবর্তী  দুধুলিয়াকোল,পাইখন্দ,মোহনগঞ্জ,ভৈরবগঞ্জ ও চর পেচাকোলা গ্রামের বাড়িÑঘরে পানি উঠে কয়েক হাজার মানুষ পানি বন্ধি হয়েছেন বলে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কমিশনার মো.আবু সুফিয়ান সরদার জানান।

বেড়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডসহ হাটুরিয়া নাকালিয়া, কৈটোলা, নতুন ভারেঙ্গা, পুরান ভারেঙ্গা, রূপপুর, মাসুমদিয়া ও ঢালারচর ইউনিয়ণের প্রায় অর্ধশত গ্রামে বন্যার পানি উঠে পরেছে। এসব গ্রামে প্রায় অধিকাংশ বাড়ি ঘরে এবং শত শত বিঘা মৌসুমি ফসলি জমিতে বন্যার পানি উঠে পরায় ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।

বিশেষ করে চরাঞ্চলের মানুষ তাদের গবাদি পশু নিয়ে চরম বিপাকে পরেছে এবং এসব এলাকার হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। বন্যার পানিতে অধিকাংশ এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি সংকটসহ সেনিটেশন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পরে নাজুক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তার ইউনিয়নের মালদাহপাড়া, পেচাকোলা, নয়ানপুরসহ চরাঞ্চলের চরপেচাকোলা, চরনাকালিয়া, চরসাঁড়াশিয়া, হাটাইল আড়ালিয়া, চরনাগদাহ, খুদ্দাতপুর, পাইখন্দ মৌজাসহ বিস্তির্ণ এলাকা বন্যা প্লাবিত হয়ে পরেছে।

নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের নেওলাইপাড়া, রাকসা, দলধোবা, বাটিয়াখরা, আগবাগসোয়া, চর সাফুল্লা, পুর্ব শ্রীকন্ঠদিয়া, কৈটোলা ইউনিয়নের হরিরামপুর, মাছখালি, ঘিওর, বিজয়গঞ্জ, বেঙ্গালিয়া গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পরেছে বলে ইউপি চেয়ারম্যান শওকত ওসমান বলেন।

পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়নের কল্যানপুর, শরিফপুর, নলখোলা, নঠাখোলা মাসুমদিয়া ইউনিয়নের কাজিরহাট, ত্রিমোহনী রূপপুর ইউনিয়নের গোপসিলেন্দাসহ ৬টি ইউনিয়নের ব্যাপক এলাকা বন্যাকবলিত হয়ে পরে মানুষ পানিবন্দি হয়েছে বলে ওই সব এলাকার স্থানীয়রা ও জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।

এ পর্যন্ত বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে কোন ত্রাণসামগ্রী পৌছেনি। দেশে করোনা ভাইরাসের কারনে শিল্প কারখানা, ব্যবসা বাণিজ্য স্থবির হয়ে পরায় এসব এলাকার অধিকাংশ খেটে খাওয়া মানুষ কর্ম হারিয়েছেন এবং তার উপর আবার বন্যার কারনে কাজকর্ম বন্ধ।

পদ্মানদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় যমুনার পানি প্রবাহ পদ্মার প্রবাহে বাঁধা প্রাপ্ত হওয়ায় ধীরগতিতে যমুনার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যমুনা পদ্মার মিলন স্থল উপজেলার ঢালারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কোরবান আলী জানান। এখনও যমুনা নদীর পানি বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কৈটোলা পাম্পিং স্টেশন সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার কৈটোলা পয়েন্টে ২ ইঞ্চি পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

এবিএন/নির্মল সরকার/গালিব/জসিম  

এই বিভাগের আরো সংবাদ