চিলমারীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি ৪২ হাজার মানুষ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২০, ১২:৪৭
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও টানা বর্ষণের ফলে সৃষ্ট ২য় দফায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।
ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১০৩সেঃ মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নি¤œাঞ্চল সমুহের প্রায় ৪২হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
পানি বৃদ্ধির ফলে অষ্টমীরচর, চিলমারী, রাণীগঞ্জ ও নয়ারহাট ইউনিয়নে বেশ কিছু এলাকায় নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে দুটি আশ্রয়ণ প্রকল্প, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বেশ কিছু স্থাপনা।
জানা গেছে ,উপজেলার অষ্টমীরচর ইউনিয়নের খোর্দ বাশপাতার, খারুভাজ, খামারবাশপাতার, ছালিপাড়া, চরমুদাফৎ কালিকাপুর ও নটারকান্দি এলাকাসমূহের প্রায় ১০ হাজার মানুষ, নয়ারহাট ইউনিয়নের বজরা দিয়ারখাতা, নাইয়ারচর, উত্তর খাউরিয়া পশ্চিমপাড়া ও খেরুয়া নতুনগ্রাম এলাকাসমুহের প্রায় ৬ হাজার মানুষ, রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের প্রায় ১২ হাজার মানুষ এবং চিলমারী ইউনিয়নের বৈলমনদিয়ারখাতা, কড়াইবরিশাল, মনতোলা,শাখাহাতি এলাকাসমূহের ৬ হাজার মানুষসহ উপজেলায় প্রায় ৪২ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এদিকে অষ্টমীরচর ইউনিয়নের চর মুদাফৎকালিকাপুর, নটারকান্দি, ডাটিয়ারচর, খোদ্দ বাশপাতার ও খামার বাশপাতার এলাকাসমূহের শতাধিক বাড়ী নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।
নয়ারহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ খাউরিয়া এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে এবং ২’শ বিঘা আশ্রয়ণ প্রকল্পের দুটি ব্যারাক নদী নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।
চিলমারী ইউনিয়নের শাখাহাতি হতে কড়াই বরিশাল পর্যন্ত ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এছাড়াও শত শত একর আবাদী জমি নদীতে ভেঙ্গে যাচ্ছে। ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে দুটি আশ্রয়ণ প্রকল্প,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বেশ কিছু স্থাপনা।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অধিকাংশ পাক ও কাঁচা সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলার রমনা ইউনিয়নের খরখরিয়া তেলিপাড়া এলাকা হয়ে হরিপুর যাওয়ার পাকা রাস্তাটিসহ অনেক রাস্তা ও বাড়ী-ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। এসময় তেলিপাড়া এলাকার মালেকা বেওয়া, খয়বর হোসেন ও মামছুল হকসহ অনেকে বলেন, বাড়ীতে পানি উঠছে বাহে হামরা এলায় কি করি? কি খাই,কোটে থাকি ? মেম্বার চেয়ারম্যানও খোজ নেয় না। পাউবো জানায়,গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে পানি ১১ সে. মি. বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১০৩ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দি মানুষের মাঝে এখন পর্যন্ত সরকারী কিংবা বে-সরকারীভাবে কোন সাহায্য দেয়া হয়নি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার কোহিনুর রহমান জানান, বন্যার্তদের জন্য ১২মে.টন চাল,শিশু খাদ্যের জন্য ১৫ হাজার টাকা ও গো-খাদ্য ১৫ হাজার টাকাসহ মোট ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ এসেছে যা জরুরী ভিত্তিতে ইউনিয়ন ভিত্তিক বিভাজ করে দেয়া হবে। এবিএন/গোলাম মাহবুব/গালিব/জসিম
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অধিকাংশ পাক ও কাঁচা সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলার রমনা ইউনিয়নের খরখরিয়া তেলিপাড়া এলাকা হয়ে হরিপুর যাওয়ার পাকা রাস্তাটিসহ অনেক রাস্তা ও বাড়ী-ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। এসময় তেলিপাড়া এলাকার মালেকা বেওয়া, খয়বর হোসেন ও মামছুল হকসহ অনেকে বলেন, বাড়ীতে পানি উঠছে বাহে হামরা এলায় কি করি? কি খাই,কোটে থাকি ? মেম্বার চেয়ারম্যানও খোজ নেয় না। পাউবো জানায়,গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে পানি ১১ সে. মি. বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১০৩ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দি মানুষের মাঝে এখন পর্যন্ত সরকারী কিংবা বে-সরকারীভাবে কোন সাহায্য দেয়া হয়নি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার কোহিনুর রহমান জানান, বন্যার্তদের জন্য ১২মে.টন চাল,শিশু খাদ্যের জন্য ১৫ হাজার টাকা ও গো-খাদ্য ১৫ হাজার টাকাসহ মোট ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ এসেছে যা জরুরী ভিত্তিতে ইউনিয়ন ভিত্তিক বিভাজ করে দেয়া হবে। এবিএন/গোলাম মাহবুব/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ