আজকের শিরোনাম :

আত্রাইয়ে খাল-বিলে পানি বৃদ্ধিতে জমে উঠেছে নৌকা বিক্রির ধুম

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২০, ১০:১৬

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার নদ-নদী ও খাল বিল পানিতে ডুবে যাওয়ায় নৌকা বিক্রির ধুম পড়েছে। পানিবন্দী গ্রামগুলোর লোকজনের চলাচল এবং অবসর সময়ে বিলে মাছ ধরার জন্য নৌকার কদর অনেক বেড়ে গেছে। তাই বিভিন্ন হাটে নৌকা বিক্রির ধুম পড়েছে। বিশেষ করে উপজেলার সমসপাড়া হাটে প্রতি হাটবারে বিক্রি হচ্ছে শত শত নৌকা।

জানা যায়, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে লাগাতার বর্ষণ এবং উজান থেকে আসা পানির ঢলে আত্রাই নদী ফুঁসে উঠেছে। সেই সাথে বিভিন্ন স্লুইচগেট দিয়ে পানি প্রবেশ করায় এবং রক্তদহ বিলের পানিতে উপজেলার পূর্বাঞ্চলের পাঠগুলো এখন পানিত থৈ থৈ করছে। বিশেষ করে উপজেলার বিশা, মনিয়ারী পাঁচুপুর ও ভোঁপাড়া ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রামের লোকজন এখন পানিবন্দী হয়ে রয়েছে। এসব এলাকার লোকজনের চলাচলের একমাত্র বাহন হিসেবে নৌকার বিকল্প নেই। এ ছাড়াও মাঠগুলো পানিতে ডুবে যাওয়ায় কৃষকদের চলছে অবসর সময় পার করার পালা। তাই তারা এ অবসর সময়ে উন্মুক্ত মাঠে মাছ শিকারের জন্য নৌকা ক্রয় করছেন। এজন্য বিভিন্ন হাট বাজারে বেড়েছে নৌকার কদর। এদিকে নৌকা ক্রয়ে একদিকে সুফল পাচ্ছেন এলাকার পানিবন্দী মানুষ। অপর দিকে নৌকা তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন অনেক কাঠ মিস্ত্রী।

যেসব মিস্ত্রীরা শুস্ক মৌসুমে কাজের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করেছেন তাদের এখন কর্মে ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্যতা। হাঁসি ফুটেছে এসব মিস্ত্রীদের পরিবারে।

সমসপাড়া হাটে নৌকা বিক্রি করতে আসা উপজেলার পারমহোনঘোষ গ্রামের আব্দুল লতিফ, ফেকু, আব্দুল মজিদসহ অনেকে বলেন, আমরা কৃষক মানুষ। বর্ষায় আমাদের মাঠ ডুবে যাওয়ায় আমরা কর্মহীন হয়ে পড়েছি। বর্তমানে বিভিন্ন গ্রামে নৌকার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা নৌকা বিক্রির পেশায় নিয়োজিত হয়েছি। সপ্তাহে দুইদিন শুক্রবার ও সোমবার সমসপাড়া হাট। বর্ষাকালে জীবিকা নির্বাহের জন্য এ হাটে আমরা নৌকা বিক্রি করে থাকি। বর্তমানে কাঠ-বাঁশের দাম বেশি এবং মিস্ত্রী মজুরীও বেশি হওয়ায় খুব বেশি লাভ না হলেও যা হয় তা দিয়ে সংসারের হাটবাজার করা চলে।

শুধু আত্রাই নয় পাশর্^বর্তী রাণীনগর, নাটোরের সিংড়া এবং চলনবিল এলাকার লোকজনও এ হাট থেকে আমাদের নৌকা ক্রয় করেন।

নৌকা ক্রেতা মহাদিঘী গ্রামের মো. ফারুক বলেন, আমরা বর্ষা মৌসুমে মাঠে মাছ শিকার ও চলাচলের জন্য নৌকা করে থাকি। এ সময় নৌকাই আমাদের একমাত্র বাহন।

এবিএন/রুহুল আমিন/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ