চিলমারীতে দ্বিতীয় দফায় বন্যা, পানিবন্দি ২০ হাজার মানুষ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২০, ১০:২২
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও টানা বর্ষণে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬২ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে নি¤œাঞ্চলসমূহের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে অষ্টমীরচর, চিলমারী ও নয়ারহাট ইউনিয়নে কিছু কিছু এলাকায় নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার অষ্টমীরচর ইউনিয়নের খোর্দ বাশপাতার, খারুভাজ, খামারবাশপাতার, ছালিপাড়া, চরমুদাফৎ কালিকাপুর ও নটারকান্দি এলাকাসমুহের প্রায় ৫ হাজার মানুষ, নয়ারহাট ইউনিয়নের বজরা দিয়ারখাতা, নাইয়ারচর, উত্তর খাউরিয়া পশ্চিমপাড়া ও খেরুয়া নতুনগ্রাম এলাকাসমূহের প্রায় ৪ হাজার মানুষ এবং রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের প্রায় ৪ হাজার মানুষসহ প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এছাড়াও চরাঞ্চলসমুহের হাজার হাজার একর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।
সরেজমিনে সোমবার দুপুরে উপজেলার রমনা ইউনিয়নের জোড়গাছ মন্ডলপাড়া এলাকায় গেলে বানভাসীদের অবস্থা চোখে পড়ে।
এ সময় বাসন্তী গ্রাম এলাকা থেকে নদী ভেঙ্গে আসা মৃত পাগারু চন্দ্রের স্ত্রী বুলি রাণীকে ঘরের ভিতর মাচা করে রান্না করতে দেখা যায়।
বুলি রাণী বলেন, ৪ দিন থাকি বাড়ীত পানি কাল আবার ঘরোত আসছে বাবা, ঘরোতে আন্দি-বাড়ি ঘরোতে খায়া থাকি। কাইয়ো হামার খোজ নেয় না, কষ্ট করি আছি। এসময় ছবি উঠাতে গেলে চারিদিক থেকে বানভাসীরা ছুটে আসতে শুরু করে।
রমনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজগার আলী সরকার জানান, নদী ভাঙ্গন ও বন্যা কবলিত লোকজনের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। বন্যার্তদের সাহায্যার্থে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। পাউবো জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্র নদে চিলমারী পয়েন্টে পানি ৪০ সে. মি. বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬২ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দি মানুষের মাঝে এখন পর্যন্ত সরকারি কিংবা বে-সরকারীভাবে কোন সাহায্য দেয়া হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এডব্লিউ এম রায়হান শাহ বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবসময় খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে।
এবিএন/গোলাম মাহবুব/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ