জামালপুরে দ্বিতীয় দফায় বন্যা, পানিবন্দি হাজারো পরিবার
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২০, ১১:৩৫
জামালপুরে দ্বিতীয় দফা বন্যার দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পউবোর) জামালপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সাঈদ এবং পানি মাপক গেজ পাঠক আব্দুল মান্নান জানান, দুই সপ্তাহ পানিবন্দি থাকা পর গত ২৪ ঘন্টা যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়ে বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিপদসীমার ৩৬ সেন্টি মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে জেলার দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়ি, মেলান্দহ উপজেলার মানুষ পানিবন্দি পড়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় মানুষ ও গবাদি পশুর বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
জামালপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. নায়েব আলী জানান,বন্যা মোকাবেলায় জেলায় এপর্যন্ত ৭৮৪ মেট্রিক টন জিআর চাল, ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা জিআর ক্যাশ, ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, শিশু খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা এবং গো-খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়ার পর তা পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ হিসাবে চলতি বন্যায় জেলার ৭টির উপজেলা এবং ৮টি পৌরসভা বন্যায় ৪৯টি ইউনিয়নের ৩৫১টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে ৯৩ হাজার ২২৫ টি পরিবারের ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৬২৩ জন সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১৩ হাজার ৩৪৩ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষক। এছাড়া ১২৬ কিলোমিটার আংশিক কাঁচা রাস্তা ও ২৪ কিলোমিটার আংশিক পাকা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। বন্যার পানির তোড়ে ৪৫৭টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ও ৬ হাজার ৩০৬টি ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া ৩৫৫টি নলকূপ ও ৩৮১টি ল্যাট্রিন, ৪১টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ১০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৪টি ব্রিজ কালভার্ট ও ৩ কিলোমিটার আংশিক বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এবিএন/মো. শাহ্ জামাল/গালিব/জসিম
জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ হিসাবে চলতি বন্যায় জেলার ৭টির উপজেলা এবং ৮টি পৌরসভা বন্যায় ৪৯টি ইউনিয়নের ৩৫১টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে ৯৩ হাজার ২২৫ টি পরিবারের ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৬২৩ জন সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১৩ হাজার ৩৪৩ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষক। এছাড়া ১২৬ কিলোমিটার আংশিক কাঁচা রাস্তা ও ২৪ কিলোমিটার আংশিক পাকা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। বন্যার পানির তোড়ে ৪৫৭টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ও ৬ হাজার ৩০৬টি ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া ৩৫৫টি নলকূপ ও ৩৮১টি ল্যাট্রিন, ৪১টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ১০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৪টি ব্রিজ কালভার্ট ও ৩ কিলোমিটার আংশিক বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এবিএন/মো. শাহ্ জামাল/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ