আজকের শিরোনাম :

শৈলকুপায় গড়াই নদীর ভাঙনরোধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২০, ১২:৩৭

ঝিনাইদহের শৈলকুপার তিনটি ইউনিয়নের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত খর¯্রােতা গড়াই নদীর ভাঙ্গনে ৫টি গ্রামের কয়েকশত বসত বাড়ি ও ফসলি জমি সহ বিলীন হচ্ছে মসজিদ। প্রতিরক্ষাবাধ না থাকায় নতুন করে নদী ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় আতংকিত হয়ে পড়েছে এলাকার জনপদ।

গড়াই নদী ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে সারুটিয়া ইউনিয়নের বড়–রিয়া গ্রামের ভাঙন কবলিত এলাকাবাসী।

গতকাল শুক্রবার দুপুরে বড়–রিয়া গ্রামে এ মানববন্ধনে অংশ নেয় শতশত গ্রামবাসী।

মানববন্ধনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী বলেন, নদীর হিং¯্র থাবায় এ উপজেলার সারুটিয়া, হাকিমপুর ও ধলোহরাচন্দ্র ইউনিয়নের নদীর পাড় ভিত্তিক গ্রামগুলোর শত শত বিঘার ফসলি জমি ও বাড়ির একাংশ হারিয়ে গেছে। নদীর করাল গ্রাসে হুমকির মুখে পড়েছে বড়–রিয়া মসজিদ ও পার্শ্ববর্তী   বাজারসহ দু-শতাধিক বসতি।

তারা আরও বলেন, দ্রুত নদী ভাঙ্গন ঠেকানো না গেলে গ্রামের শত শত পরিবার পথে বসবে। ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ভাঙ্গন প্রতিরোধে গুরুত্ব না দেওয়ায় তারা স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাধ পাচ্ছে না।

এ দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা সরোয়ার জাহান সুজন বলেন, জরুরী প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মানের জন্য প্রকল্প চেয়ে উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে। তিনি আরও বলেন, স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাধ নির্মান ছাড়া ভাঙন প্রতিরোধ করা সম্ভব না।

উল্লেখ্য, কুষ্টিয়া থেকে ভাটিতে আসা গড়াই নদী ঝিনাইদহের শৈলকুপার লাঙ্গলবাধ পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার অংশে প্রবাহিত। ১৯৯০ সালের পর থেকে বছরের পর বছর এ নদীর ভাঙ্গনের করাল গ্রাসে তিনটি ইউনিয়ন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অনেক পরিবার বসত ভিটা ও ঘর বাড়ি ছেড়ে পথে বসেছে।

সারুটিয়া, হাকিমপুর ও ধলোহরাচন্দ্র  ইউনিয়নের গড়াই নদীর পাড় ভিত্তিক বড়–রিয়া, কৃঞ্চনগর, মাঝদিয়া, মাদলা ও লাঙ্গলবাধ বাজার গ্রামগুলো এখন হুমকির মুখে পড়েছে।

প্রতিরক্ষাবাধ না দেওয়ায়  প্রায় ১৪ শত  বিঘার ফসলি জমি ও প্রায় ১০০টি বাড়ির একাংশ নদীর গ্রাসে হারিয়ে গেছে। সম্প্রতি অতিবৃষ্টির কারনে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকেই নদীর এ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।

নদীর হিং¯্র থাবায় যে কোন সময় গ্রামের আরও শত শত বিঘার ফসলি জমি ও ৩ শতাধিক বসত বাড়ি, মসজিদ ও লাঙ্গলবাধ বাজার হুমকির মুখে পড়েছে। নদীর প্রবল ¯্রােত আর ভারি বর্ষনে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা আগ্রাসী রুপ ধারণ করছে।

তাই এলাকাবাসী অনতিবিলম্বে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়ানো ও প্রতিরক্ষা বাধ দেওয়ার অনুরোধ জানান।

এবিএন/যবনিকা/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ