আজকের শিরোনাম :

পাঁচবিবিতে আমন চাষে ব্যস্ত সময পার করছেন কৃষকরা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২০, ১৩:০৫

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে আমন ধান চাষের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। কৃষকরা ইতি মধ্যেই আমন চাষের প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমে পরেছে।  

প্রাথমিকভাবে কৃষকরা আমনের জমিতে আইল বাঁধা আইলের সাইড কেটে জমিকে আমন চাষের উপযোগী করে তুলছে। যে সব জমিতে পাট আছে সে গুলোও পাট কেটে প্রস্তুত করছেন। সেই লক্ষ্যে কৃষক আমনের চারা দোগছি রোপন করা নিয়ে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছে এখন। কারণ আর কয়দিন পরেই  আমন চারা জমিতে রোপন শুরু হবে। কৃষকরা জানান উপজেলায় বন্যা সহ প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না থাকায় এবার আগে ভাগেই শুরু হবে আমন চারা রোপন।

বাগজানা মাঠে দোগছি লাগানো কৃষক গৌরাঙ্গ জানায়, এক মাস আগে আমন ধান বীজ তলায় ছিটানো হয়।

এই বীজের চারা যখন প্রায় এক ফুট উচ্চতা হয়, তখন সেই চারা তুলে পুনরায় অন্য জমিতে রোপন করা হয়।  সেই চারা আমনের জমিতে রোপন করা হয়।

দোগাছির উপকারিতা কি জানতে চাইলে কৃষক শহিদুল, মাসুদ রানা, সামছুল বলেন, দোগছি করলে চারার দন্ড মোটা হয়, ৮/১০টি চারা থেকে কমপক্ষে ৪০/৫০টি গাছ গজায় এবং দোগছির চারা জমিতে রোপন করলে চারা সাশ্রয় ও চারার গোঁজ মোটা হয়।

ধানের শীষ লম্বা হয়, পোকার আক্রমণসহ ধান গাছে নানা বিধ রোগ বালাই দেখা না দিলে দোগছি ধানের ফলনও ভাল পাওয়া যায় বলে তারা জানান।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২০হাজার ২৩০ হেঃ জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই হিসাবে উপজেলায় প্রায় ১২’শ হেক্টর জমিতে আমন বীজতলা তৈরী করা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফর রহমান বলেন, এ এলাকায় স্থানীয় কৃষকের মাঝে দোগছির প্রচলন বেশি। কিন্তুু সব ধানের ক্ষেত্রে দোগছি করা যাবে না, যে ধানের জীবনকাল বেশি সেটি করা যেতে পারে। তবে বন্যাকবলিত এলাকায় দোগছি করলে চারা সংকটের সম্ভাবনা থাকে না বলে তিনি জানান।

এবিএন/সজল কুমার দাস/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ