আজকের শিরোনাম :

কুড়িগ্রামে হুমকির মুখে বাঁধ: ২০ গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা

  ইউএনবি

০৩ জুলাই ২০২০, ১৬:৫৫ | অনলাইন সংস্করণ

ধরলা নদীর ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের সারডোব গ্রামে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের প্রায় ৪০০ মিটার।

ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বাঁধের একাংশ। এটি ভেঙে গেলে বন্যার কবলে পড়বে নদী তীরবর্তী ২০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।

এলাকাবাসী জানায়, ২০১৭ সালের ১২ আগস্ট ধরলা নদীর তীরবর্তী সারডোব এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এবং বাঁধের ওপর পাকা সড়কের কয়েকটি স্থান ভেঙে বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। এরপরে দুই বছরেও বাঁধটি মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। পরে ভেঙে যাওয়া সারডোব বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটির ৪০০ মিটার অংশ এলাকাবাসীর অর্থে মেরামত করা হয়। তারপর জিও টেক্সটাইল বিছিয়ে সাময়িক মেরামতের কাজ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু চলতি বছর বর্ষা শুরুর পর থেকে বাঁধের মেরামত করা অংশে আবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে।

সারডোব গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য মো. আশরাফ হোসেন বলেন, ‘বাঁধের ভাঙা অংশ ঘেঁষে ধরলার মূল স্রোত প্রবাহিত হওয়ায় ভাঙন শুরু হয়েছে। ২০ গ্রামের কয়েক হাজার পরিবার বন্যা ও ভাঙনের আশঙ্কায় দিন পার করছে।’

এলাকার বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান জানান, বাঁধের অর্ধেক অংশ ভেঙে গেছে। বাকিটা ভাঙলে এ এলাকার বাড়িঘর সব নদীতে ভেসে যাবে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য বাকিনুর ইসলাম জানান, বাঁধ রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে কয়েক দফা যোগাযোগ করা হলেও বরাদ্দ নেই উল্লেখ করে তারা সাড়া দেননি।

তবে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বাঁধটি রক্ষার জন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। ভাঙা অংশটি মেরামত করা হবে যাতে বাঁধ রক্ষা পায় এবং মানুষের চলাচল স্বাভাবিক হয়। ইতোমধ্যে এখানে ৮০০ মিটার তীর সংরক্ষণ কাজের অনুমোদন পাওয়া গেছে। বর্ষা মৌসুমের পরপরই কাজ শুরু হবে।’

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ