মেঘনায় দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পুরুষশূন্য শতাধিক পরিবার
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২০, ১৩:০৯
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার পুরান বাটেরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে মধ্যযুগীয় অস্ত্র টেটার ব্যাপক ব্যবহার হয়েছে।
এ ঘটনায় গ্রেফতার এড়াতে পুরুষশূন্য শতাধিক পরিবার।
জানা যায়, গত শনিবার (২৭ জুন) শাজাহান ও সুরুজ গ্রুপের ওই সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে পুরুষশূন্য পড়েছে গ্রামটি। নারী, শিশু ও বৃদ্ধ ছাড়া কাউকেই পাওয়া যায়নি এলাকায়। ফের হামলার আশংকায় পুরুষ লোকজন আত্মগোপনে চলে গেছেন।
সহকারী পুলিশ সুপার (হোমনা সার্কেল) মো. ফজলুল করিম সোমবার (২৯ জুন) গ্রামটি পরিদর্শন করেন।
সরজমিনে লুটেরচর ইউনিয়নের পুরান বাটেরা গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি ঘুরে দেখা যায়, বাড়িগুলোতে হামলার চিহ্ন স্পষ্ট। বেশির ভাগ বাড়ির বেড়া(চৌকাট) দরজা, জানালা ভাঙা। কোন কোন বাড়ির আসবাবপত্রও ভাঙা।
গ্রামবাসী জানান, দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে আতঙ্কের জনপদ পুরান ভাটেরা গ্রামে এখন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গ্রেপ্তার এড়াতে গ্রামে এখন পুরুষরা থাকছেননা।
সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে জড়ো হওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভূক্তভোগী নারীরা জানান, সংঘর্ষের ভয়ে এখনো আতংক বিরাজ করছে পুরো গ্রামটিতে।
হামলার পর থেকে আমাদের পুরুষ সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। আমরা বাড়িঘরে বাচ্চাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছি। আবার লুট হওয়ার ভয়ে আমাদের গবাদি পশু (গরু ছাগল) আত্মীয়স্বজনের বাড়ীতে রেখে আসছি।
শাজাহান মিয়া বলেন, সুরুজ ও ডালিমের লোকজনের ভয়ে আমরা বাড়ীতে যাইতে পারিনা। মামলা করে কি হবে এর আগে হামলার ঘটনায় মামলা করায় আবার হামলার স্বিকার হয়ে এখন বাড়ী ছাড়া।
অপর পক্ষের সুরুজ মিয়া আহত ভাইকে নিয়ে ঢাকার হাসপাতালে আছেন। তিনি ফোনে এ বিষয়ে কোন কথা বলবে া বলে জানান।
ওসি আব্দুল মজিদ জানান, পুরান বাটেরা গ্রামে পুলিশের একাধিক দল পৃথক পৃথক টহল কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। ওই এলাকার পরিবেশ এখন শান্ত আছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফজলুল করিম জানান, পুরান বাটেরার দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনারস্থল আমি পরিদর্শন করেছি। এখনোও কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি এবং গ্রামে পুরুষশূন্যের বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
উল্লেখ্য, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মেঘনা উপজেলার দ্বীপ গ্রাম পুরান বাটেরায় গত ২৭ জুন দু’গ্রুপের সংঘর্ষ ও টেটা যুদ্ধ হয়।
এ ঘটনায় উভয়পক্ষের টেটা বৃদ্ধসহ আহত হয় কমপক্ষে ১৫ জন ।
এবিএন/কবির হোসেন/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ