মেলান্দহে রাস্তা পারাপারের নামে লক্ষাধিক টাকা চাঁদাবাজি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২০, ১২:৪৬
জামালপুরের মেলান্দহে দুটি পয়েন্ট থেকে অবৈধভাবে দৈনিক কমপক্ষে লক্ষাধিক টাকা চাঁদাবাজি চলছে।
এই স্থান দুটি হচ্ছে মেলান্দহ থেকে মাহমুদপুর গামী রাস্তার মাঝখানে পয়লা এবং মাহমুদপুর থেকে ইসলামপুর রোডের ইমামপুর নামক স্থানে। প্রায় ৭ দিন যাবৎ অবৈধভাবে মানুষ পারাপারের নামে চাঁদা আদায় করা হলেও প্রশাসনের কেও জানেন না।
জানা গেছে, ২০১১ সালে বর্ষাকালে এই স্থান দু’টিতে একটি সিন্ডিকেট পরিকল্পিতভাবে সড়ক ভেঙ্গে দেয়। সিন্ডিকেট গ্রুপটি রাতারাতি এই দুই স্থানে বাঁশের সাঁকু স্থাপনের মাধ্যমে মানুষ পারাপারের নামে চাঁদা আদায় শুরু করে। ২০১২ সালের ১৪ আগস্ট এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট দৈনিক ইত্তেফাকে ছাপা হলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে চাঁদা আদায় বন্ধ হয়। মানুষের চলাচলের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে পয়লা এলাকায় ডাইবেশন করা হয়। অপরদিকে ইমামপুর নামক স্থানে ভাঙ্গা রাস্তায় মাটি ভরাটের বরাদ্দ দেয়া হয়। তৎকালীন ঠিকাদার ইমামপুর রাস্তায় মাটির পরিবর্তে বালি দিয়ে ভরাট করে দেয়।
পরের বছরই বন্যার পানিতে এই বালির বাঁধটি ভেঙ্গে যায়। এরপর এই রাস্তাটি সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। চলতি বর্ষাকালে ইমামপুর এবং পয়লা এলাকার রাস্তায় পানি প্রবাহের কারণে আবারো ওই সিন্ডিকেট চক্রটি অবাধে চাঁদা আদায় শুরু করেছে।
এই দুটি স্থানে নৌকায় আপ-ডাউন করতে প্রতিজনের কাছ থেকে ১০ টাকা, মোটর সাইকেল ৩০/৪০ টাকা, বাইসাইকেল ২০ টাকা এবং মালামাল প্রতিবস্তা ১০ টাকা হারে নেয়া হচ্ছে। এই রাস্তা দু’টির উপর দৈনিক কমপক্ষে ২০/৩০ হাজার মানুষ চলাচল করছেন।
এক হিসেবে দেখা গেছে, যদি মোটরসাইকেল-বাইসাইকেল এবং অন্যান্য মালামাল ছাড়াই দু’টি রাস্তায় গড়ে দৈনিক ১০হাজার করে মানুষ যাতায়াত করলেও, প্রতিজনের কাছ থেকে শুধু আপডাউন ১০ টাকা হারে নিলেও দৈনিক ১ লাখ টাকার এক পয়সাও সরকারি খাতে যাচ্ছে না।
পথচারী বদিউজ্জামান মাস্টার, রফিকুল ইসলাম জানান-জন দুর্ভোগ লাগবে প্রশাসনের কোন উদ্যোগ নেই। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা উচিত। তারা মনে করেন-১০/২০ হাজার কিংবা আরো কিছু বেশি টাকায় সাময়িক সময়ের জন্য মানুষ পারাপারে স্থানীয় সরকারের আওতায় এখানে বাঁশের সাঁকু নির্মাণ করলে চাঁদাবাজি বন্ধ হবে।
ব্যাপারে মাহমুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, প্রশাসন থেকে মানুষ পারাপার কিংবা জনদুর্ভোগ লাঘবে আমাকে কোন নির্দেশনা দেয়া হয়নি। স্থানীয়রা যার যার মতো টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামিম আল ইয়ামীন জানান-এইভাবে মানুষ পারাপারের নামে অবৈধভাবে চাঁদা নেয়ার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নিব।
উপজেলা প্রকৌশলী মাজেদুর রহমান জানান, ইমামপুর স্থানে রাস্তা নির্মাণের প্রস্তাব পাশ হলেই টেন্ডার হবে। আর পয়লা নামক স্থানে ব্রিজ নির্মাণের কাজ চলছে।
এবিএন/মো. শাহ্ জামাল/গালিব/জসিম
জানা গেছে, ২০১১ সালে বর্ষাকালে এই স্থান দু’টিতে একটি সিন্ডিকেট পরিকল্পিতভাবে সড়ক ভেঙ্গে দেয়। সিন্ডিকেট গ্রুপটি রাতারাতি এই দুই স্থানে বাঁশের সাঁকু স্থাপনের মাধ্যমে মানুষ পারাপারের নামে চাঁদা আদায় শুরু করে। ২০১২ সালের ১৪ আগস্ট এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট দৈনিক ইত্তেফাকে ছাপা হলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে চাঁদা আদায় বন্ধ হয়। মানুষের চলাচলের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে পয়লা এলাকায় ডাইবেশন করা হয়। অপরদিকে ইমামপুর নামক স্থানে ভাঙ্গা রাস্তায় মাটি ভরাটের বরাদ্দ দেয়া হয়। তৎকালীন ঠিকাদার ইমামপুর রাস্তায় মাটির পরিবর্তে বালি দিয়ে ভরাট করে দেয়।
এই বিভাগের আরো সংবাদ