পরকিয়া সন্দেহেই স্ত্রীকে হত্যা করলো স্বামী
প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০১৮, ১৮:৫৯
নন্দীগ্রাম (বগুড়া), ২০ জুলাই, এবিনিউজ : বগুড়ার নন্দীগ্রামে ১০ ঘন্টার ব্যবধানে নারী শ্রমিক কিরণী বালার হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। পরকীয়া সন্দেহে তৃতীয় স্ত্রী কিরণী বালা (৪৩)কে ঘুমন্ত অবস্থায় ব্লেড দিয়ে পেট কেটে হত্যা করে পাষন্ড স্বামী সুরেশ প্রামনিক।
কিরণী বালা ইট ভাঙ্গার কাজ করত। স্বামীর তৃতীয় স্ত্রী ছিলেন তিনি। স্বামী ছিলেন টাকার পাগল। স্বামীর অত্যাচারে এক স্ত্রী ডিভোর্স দিয়েছেন। দ্বিতীয় স্ত্রী থাকেন অন্যের বাড়িতে। আর তৃতীয় কিরণী বালা থাকতেন স্বামী সুরেশের সাথে। ইট ভাঙা এবং রাজমিস্ত্রির কাজ করে যা আয় হতো তা তুলে দিতেন স্বামীর হাতে। তবুও পাষন্ড স্বামী হাতেই খুন হলেন কিরণী বালা। পরকীয়া সন্দেহে গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ধারালো ব্লেড দিয়ে ঘুমন্ত কিরণী বালাকে পেট কেটে হত্যা করা হয়।
পৌর এলাকার কালিকাপুর গ্রামে এ হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত কিরণী বালার স্বামী সুরেশ প্রামনিককে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পর স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে সুরেশ। স্ত্রীর সাথে অন্য কারো পরকীয়া আছে, এই সন্দেহেই স্ত্রীকে হত্যা করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতের খাবর খেয়ে স্বামী-স্ত্রী নিজেদের ঘরে শুয়ে পড়েন। এরপর সুযোগ বুঝে সুরেশ তার স্ত্রী কিরণী বালার পেটে ধারালো ব্লেড চালায়। তখন তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে রাতেই থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করে এবং হত্যাকান্ডে সম্পৃক্ত সন্দেহে নিহতের স্বামী সুরেশ প্রামনিককে আটক করে।
ঘটনার পর থেকেই সুরেশ দাবি করছিল, গভীর রাতে কে বা কাহারা শয়ন ঘরে ঢুকে তার স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে গেছে। কিন্তু পুলিশের হাতে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে সে।
এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে ৫টার দিকে নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, স্ত্রী হত্যাকারী সুরেশকে আটক করা হয়েছে। সে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো ব্লেড উদ্ধার করা হয়েছে।
এবিএন/অদ্বৈত কুমার আকাশ/জসিম/এমসি