আজকের শিরোনাম :

লামায় লোকালয় থেকে ভাল্লুকের ছানা উদ্ধার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২০, ১০:১৪

বান্দরবানে লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াংছা এলাকায় লোকালয়ে ছুটে আসা একটি ভাল্লুকের ছানা উদ্ধার করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার (২৪ জুন) বিকালে লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এসএম কায়সার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, দুইএক দিন আগে পাঁচ থেকে ছয় মাস বয়সী কালো ভাল্লুক এর ছানাটি দল থেকে ছুটে গিয়ে ভুল পথে লোকালয়ে চলে এসে লামা উপজেলার ইয়াংছা এলাকার জীনামেজু আশ্রমের আশপাশে ঘোরাফেরা করছিল। এ সময় কয়েকটি কুকুর কালো ভাল্লুকের ছানাটিকে ধাওয়া করলে ভাল্লুকের ছানাটি একটি গাছের উপরে আশ্রয় নেন।

পরে আশ্রমের ভান্তেদের বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হলে ভাল্লুক ছানাটিকে উদ্ধার করে আশ্রমের হেফাজতে রাখেন। পরে খবর পেয়ে লামা বন বিভাগের কর্মকর্তারা ভাল্লুকের ছানাটিকে বন বিভাগের জিম্মায় নিয়ে আসেন।

বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে, বিলুপ্ত প্রায় এই বন্যপ্রাণীগুলি সিলেট ও তিন পার্বত্য জেলার গহীন বনে কিছু সংখ্যক ভাল্লুক টিকে আছে। সহকারী বনায়ন ও পরিত্যক্ত অভয়ারণ্য গুলি ধ্বংস হওয়ায় এশিয়ান কালো প্রজাতির ভাল্লুক গুলি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। তারা বাসস্থান ও খাদ্য সঙ্কটে পরে লোকালয়ে ছুটে এসে মানুষের উপরে আক্রমণ করতেও দেখা গেছে।

ইতিমধ্যে বান্দরবানের বিভিন্ন উপজেলায় ভাল্লুকের আক্রমণে অনেক মানুষ হতাহত হয়েছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ এর তফসিল অনুযায়ী এই প্রাণীটি সংরক্ষিত প্রাণী।

লামা বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. নুরে আলম হাফিজ বলেন, দেশ থেকে বিলুপ্ত প্রায় এই বন্যপ্রাণীটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার তাদের রেড লিস্টে এশিয়ান কালো প্রজাতির ভাল্লুক ‘ভালনারেবল’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। গহীন বন ধ্বংস হওয়ায় এশিয়ান কালো ভাল্লুক গুলি বাসস্থান ও খাদ্য সঙ্কটে পড়ছে লোকালয়ে চলে আসছে ।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম কায়চার বলেন, ইয়াংছা থেকে উদ্ধারকৃত কালো প্রজাতির ভাল্লুকের ছানাটি বনবিভাগের জিম্মা এনে কক্সবাজারের চকরিয়া ডুলহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হয়েছে। ছানাটির শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। তাকে ভাত ও মিষ্টি কুমড়া খেতে দেওয়া হচ্ছে।

বুধবার বিকেল ৫টায় ভালুক ছানা টিকে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের তত্ত্বাবধায়ক মাজহারুল ইসলাম চৌধুরীর হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এবিএন/মোহাম্মদ আব্দুর রহিম/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ