সাভারে ৬ হাসপাতালে র্যাবের অভিযান: ২টি সিলগালা
অনলাইন ডেস্কপ্রকাশ: ২০ জুলাই ২০১৮, ১৬:২০
সাভার, ২০ জুলাই, এবিনিউজ : সাভারে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও রক্ত রাখা, অপারেশন থিয়েটারে ময়লা আবর্জনা, অনুমোদন ও নিয়মবহির্ভূতভাবে হাসপাতাল পরিচালনার দায়ে ছয়টি হাসপাতালের মধ্যে দুটি হাসপাতাল সিলগালা ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত র্যাব ৪ সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
র্যাব ৪ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে দিকে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান শুরু করে। প্রথমে থানা স্ট্যান্ড এলাকার দীপ ক্লিনিকে অভিযান পরিচলনা করা হয়। এ ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটারে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, ২০১২ সালের মেয়াদোত্তীর্ণ সার্জিকেল সুতা, অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার অভিযোগে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
পরে সাভার সেন্ট্রাল হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাব ৪ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখা, হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়ন না থাকা ছাড়াও ত্রুটিপূর্ণ অপারেশন থিয়েটার দেখতে পায় তারা। পরে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও হাসপাতালটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
পাশের থানা রোড এলাকায় প্রাইম হাসপাতালের ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, ল্যাবে ময়লা ও মেয়াদত্তীর্ণ ব্লাড রাখার অভিযোগে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এর পাশের থানা রোডের প্রিন্স হাসপাতাল অ্যান্ড ইনস্টিটিউটে রাত সাড়ে ৮টার দিকে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় হাসপাতালটির প্যাথলজি পরীক্ষার রিপোর্টটে অগ্রিম স্বাক্ষর দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া হাসপাতালটির অনুমোদন, অপারেশন থিয়েটারে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ এবং বর্জ্য রাখার কোনও ব্যবস্থা না থাকায় অভিযান শেষে প্রিন্স হাসপাতাল সিলগালা ও ৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
থানা রোডের নিউ দীপ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রাত সাড়ে ৯টার দিকে অভিযান পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন অনিয়ম দেখতে পেয়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
পরে রাত ১০টার দিকে থানা রোডের মুক্তি ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ ক্লিনিকটির অপারেশন থিয়েটারে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ এবং বিভিন্ন অনিয়ম দখতে পেয়ে ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর ও ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর ও র্যাব ৪ এর যৌথ উদ্যোগে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে এ সময় র্যাব ৪ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর আব্দুল হাকিম, সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. জাহিদুর রহমান, ওষুধ প্রশাসনের পরিদর্শক নাহিনাল আলমসহ উপস্থিত ছিল।
এদিকে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের খবর পেয়ে সাভার বাসস্ট্যান্ড ও আশপাশ এলাকার বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ও কর্মচারীকে মূল ফটকে তালা লাগিয়ে সটকে পড়তে দেখা গেছে।
র্যাব৪ সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জানায়, এসব হাসপাতালে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, রক্ত, প্রয়োজনীয় চিকিৎসকের সংকট, অপারেশন থিয়েটারে ময়লা-আর্বজনা ও অস্বাস্থ্যকর এবং নোংরা পরিবেশে চিকিৎসা সেবা দেওয়ায় তাদের জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও একই অভিযোগসহ হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়ন ও অনুমোদন না থাকার দুটি হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এবিএন/মো: সোহেল রানা খান/জসিম/নির্ঝর
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত র্যাব ৪ সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
র্যাব ৪ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে দিকে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান শুরু করে। প্রথমে থানা স্ট্যান্ড এলাকার দীপ ক্লিনিকে অভিযান পরিচলনা করা হয়। এ ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটারে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, ২০১২ সালের মেয়াদোত্তীর্ণ সার্জিকেল সুতা, অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার অভিযোগে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
পরে সাভার সেন্ট্রাল হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাব ৪ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখা, হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়ন না থাকা ছাড়াও ত্রুটিপূর্ণ অপারেশন থিয়েটার দেখতে পায় তারা। পরে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও হাসপাতালটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
পাশের থানা রোড এলাকায় প্রাইম হাসপাতালের ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, ল্যাবে ময়লা ও মেয়াদত্তীর্ণ ব্লাড রাখার অভিযোগে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এর পাশের থানা রোডের প্রিন্স হাসপাতাল অ্যান্ড ইনস্টিটিউটে রাত সাড়ে ৮টার দিকে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় হাসপাতালটির প্যাথলজি পরীক্ষার রিপোর্টটে অগ্রিম স্বাক্ষর দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া হাসপাতালটির অনুমোদন, অপারেশন থিয়েটারে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ এবং বর্জ্য রাখার কোনও ব্যবস্থা না থাকায় অভিযান শেষে প্রিন্স হাসপাতাল সিলগালা ও ৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
থানা রোডের নিউ দীপ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রাত সাড়ে ৯টার দিকে অভিযান পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন অনিয়ম দেখতে পেয়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
পরে রাত ১০টার দিকে থানা রোডের মুক্তি ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ ক্লিনিকটির অপারেশন থিয়েটারে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ এবং বিভিন্ন অনিয়ম দখতে পেয়ে ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর ও ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর ও র্যাব ৪ এর যৌথ উদ্যোগে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে এ সময় র্যাব ৪ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর আব্দুল হাকিম, সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. জাহিদুর রহমান, ওষুধ প্রশাসনের পরিদর্শক নাহিনাল আলমসহ উপস্থিত ছিল।
এদিকে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের খবর পেয়ে সাভার বাসস্ট্যান্ড ও আশপাশ এলাকার বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ও কর্মচারীকে মূল ফটকে তালা লাগিয়ে সটকে পড়তে দেখা গেছে।
র্যাব৪ সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জানায়, এসব হাসপাতালে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, রক্ত, প্রয়োজনীয় চিকিৎসকের সংকট, অপারেশন থিয়েটারে ময়লা-আর্বজনা ও অস্বাস্থ্যকর এবং নোংরা পরিবেশে চিকিৎসা সেবা দেওয়ায় তাদের জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও একই অভিযোগসহ হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়ন ও অনুমোদন না থাকার দুটি হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এবিএন/মো: সোহেল রানা খান/জসিম/নির্ঝর
এই বিভাগের আরো সংবাদ
