আজকের শিরোনাম :

জগন্নাথপুরে ব্রিজ দিয়ে চলাচলে বাঁধা, দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২০, ১৩:০৫

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের বড় মোহাম্মদপুর গ্রামে নলজুর নদীর নালী খালের ওপর নির্মিত সরকারি সেতু দিয়ে জনসাধারণ ও গৃহপালিত পশু চলাচলে বাঁধা প্রদানে দু-পক্ষের  অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এমনকি সেতু দিয়ে লাশ নিয়ে কবরস্থানে যাওয়ার পথে বাঁধা প্রদান করার মতো ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। দু-পক্ষের পাল্টা পাল্টি অভিযোগ নিয়ে এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জন। সেতু দিয়ে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ এনে ৯ জুন এক পক্ষ সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ প্রদান করা হয়েছে। অপরপক্ষের লোকজন ২১ জুন জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের বড় মোহাম্মদপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নলজুর নদীর নালী খালের ওপর কয়েক বছর আগে দুর্যোগ ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ের অধীনে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৬ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। এ সেতু দিয়ে বড় মোহাম্মদপুর গ্রাম সহ আশ পাশ গ্রামের লোকজন যাতায়াত করে থাকেন।

সেতুটির পাশেই যুক্তরাজ্য প্রবাসী মুহিত মিয়ার বাড়ি অবস্থিত হওয়ায় সেতু দিয়ে যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচল এমনকি গৃহপালিত পশু চলাচলে মুহিত মিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে বাধা নিষেধ প্রদান করা হয়।

এনিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হলেও বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বৈঠক বসলে সেতু দিয়ে চলাচলে বাঁধা নিষেধ প্রদান করা হবে না বলে মুহিত মিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে গ্রামবাসীকে আশ্বাস করা হয়। আশ্বস্থ করার পরও চলাচলে উম্মুক্ত না হওয়ায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।

এদিকে আজাদ মিয়া কর্তৃক সেতুটি দখলে নিয়ে ষাঁড় গরু বেঁধে রেখে যাতায়াত বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে মর্মে  ২১ জুন  বড় মোহাম্মদপুর  গ্রামের মৃত জমির আলীর ছেলে মিরাজ মিয়া সহ এলাকার লোকজন জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এ বিষয়ে আজাদ আলী বলেন, সেতুর সংযোগ সড়কের প্রবাসীর পরিবারের লোকজন বাঁশ দিয়ে বেঁধে রেখে জনসাধারণের চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।

এ বিষয়টি জন্য প্রথমে আমরা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেই পরে উপজেলা ইউএনও বরাবরে অভিযোগ দেওয়ায় প্রতিপক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে অহেতুক মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। তিনি গরুটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে বাইরে নিয়ে যেতে হয়। সেতুর উপর আমি গরু বেঁধে রাখিনি।

প্রবাসী মুহিত মিয়ার পক্ষের মিরাজ মিয়া অভিযোগ করে জানান, এলাকাবাসীর নিষেধ অমান্য করে সরকারি সেতু দিয়ে বিশাল আকৃতির গরুটি বেঁধে রেখে স্থানীয়দের যাতায়াত করতে দেয়া হচ্ছে না।

এজন্য বিষয়টি প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

ইউএনও অফিস সূত্রে জানা যায়, সেতু দিয়ে চলাচলে প্রতিবন্ধকতার বিষয়ে দুই পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে  স্থানীয় ইউপি সদস্যকে মিমাংসার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

এবিএন/রিয়াজ রহমান/গালিব/জসিম                                                                          

এই বিভাগের আরো সংবাদ