আজকের শিরোনাম :

মেলান্দহের মাহমুদপুর-ইসলামপুর রাস্তার বেহাল দশায় দুর্ভোগে জনগণ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২০, ১৩:৪৬

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর টু ইসলামপুর রোডের করুণ অবস্থা বিরাজ করছে। প্রতিদিন এই রাস্তায় কমপক্ষে ১৫/২০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। নিত্যপণ্য পরিবহনসহ মানুষ চলাচলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। এই রাস্তা দিয়ে ইসলামপুর-দেওয়ানগঞ্জ-মেলান্দহ-মাদারগঞ্জেরবাসী চলাচল করেন।

মাহমুদপুর বাজার থেকে ইমামপুর-নোয়ারপাড়া হয়ে রামভদ্রা রাস্তাটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের তৈরি। দেশ স্বাধীনের অনেক পরে যমুনা নদীর তীরবর্তী এলাকার বসতবাড়ি এবং ফসলি জমি রক্ষার জন্য প্রথমে এটি বেড়ি বাঁধের আদলে রাস্তা নির্মাণ করেছিল।

স্থানীয়রা জানান, ৯০ দশকে বেড়ি বাঁধের এই রাস্তাটি পাকাকরণ হয়। ফলে মেলান্দহ-ইসলামপুর-দেওয়ানগঞ্জ এবং মাদারগঞ্জের সাথে সড়ক যোগাযোগ উন্নতি সাধন করে। ২০১২ সালের বন্যা এবং বৃষ্টির সময় স্থানীয় একটি চক্রের কারসাজিতে রাতের অন্ধকারে এই রাস্তাসহ মেলান্দহ-মাহমুদপুর রোডের পয়লা ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তা কেটে দেয়ার পর রাতেই পানির তোড়ে গর্ত হয়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

চক্রটি রাতারাতি এই স্থানে বাঁশের সাঁকু নির্মাণ করে চাঁদাবাজিতে নামে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৫-৬ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে। ক্ষমতাসীন দলের ৩০ সদস্যের একটি সিন্ডিকেট টানা দুইমাসে ৫-৬ লাখ টাকা চাঁদা উত্তোলন করে।

গত ১৪ আগস্ট/১২, দৈনিক ইত্তেফাকে এ সংক্রান্ত এক রিপোর্ট প্রকাশের পর তৎকালীন ইউএনও তানভীর আহমেদ বাঁশের সাঁকুর নামে চাঁদাবাজি বন্ধে পদক্ষেপ নেন। পাশাপাশি মাহমুদপুর-ইমামপুর-রামভদ্রা সড়ক পুনঃনির্মাণও করে দেন। একই সাথে পয়লা ব্রিজের স্থলে ডাইবেশন নির্মান করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মাটি দিয়ে রাস্তাটি নির্মাণ করার কথা থাকলেও, বালি দিয়ে রাস্তার গর্ত ভরাট করার পরের বছরই বন্যার পানির তোড়ে রাস্তাটি ভেঙ্গে যায়। এরপর থেকে এখনো রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে।     

পথচারী রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্যরা জানান-৬-৭ বছর যাবত এই রাস্তার বেহাল দশা চলছে। এখানে দুর্ঘটনা নিত্যদিনের। কিছুদিন আগে গাড়ি উল্টে দুই জন মানুষ মারাও গেছে। মেলান্দহ-ইসলামপুরের সীমান্তবর্তী এলাকা হিসেবে এটি অবহেলিত হয়ে আছে।

এ ব্যাপারে মেলান্দহ উপজেলা প্রকৌশলী মাজেদুর রহমান জানান, ৬/৭ মাস আগে রাস্তাটি মেরামতের জন্য এপ্রোজাল পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই টেন্ডার হবে।

এবিএন/মো. শাহ্ জামাল/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ