জগন্নাথপুরে পুলিশের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল কিশোরী

জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের দাসনোয়াগাঁও আলগা বাড়ি গ্রামে পুলিশের উপস্থিতিতে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল ঐ গ্রামের সুফি মিয়ার কিশোরী কন্যা।

বাল্য বিবাহের খবর পেয়ে গতকাল শুক্রবার (৫ জুন) বিকেল আড়াইটায় জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর নির্দেশে এসআই মনির উদ্দিন ও এএসআই শাহীন চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশ দল দাসনোয়াগাঁও গ্রামে পৌছে চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রনধীর দাস রান্টুর সহযোগিতায় বাল্য বিবাহ থেকে কিশোরীকে রক্ষা করেন।

এ সময় এলাকার গণ্যমান্যসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দাসনোয়াগাঁও আলগা বাড়ি গ্রামের সুফি মিয়ার কিশোরী কন্যার সাথে পার্শ্ববর্তী গ্রাম দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে শরিফ মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।

এরই সূত্র ধরে বিয়ের উপযুক্ত বয়স না হলেও শুক্রবার বিবাহের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়। কিন্তু পাত্রীর বিয়ের বয়স না হওয়ায় দাসনোয়াগাঁও ও কদমতলা গ্রামের লোকজনদের মধ্যে বিয়েকে নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হলে বিষয়টি প্রশাসন অবগত হয়।

পরে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ দাসনোয়াগাঁও গ্রামে পৌছায় খবর পেয়ে পাত্রী পক্ষ তাদের বিয়ের আয়োজন বন্ধ করে মেয়ের পিতা সুফি মিয়াসহ বিয়ে অংশগ্রহণ করা আত্মীয়স্বজনরা পালিয়ে যায়।

জগন্নাথপুর থানার এসআই মনির উদ্দিন জানান, দাসনোয়াগাঁও গ্রামে বাল্য বিবাহ হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা সেখানে যাই। সুফি মিয়ার বাড়িতে পৌছার পূর্বেই তাদের সব আয়োজন বন্ধ করে পালিয়ে যায়। মেয়ের উপযুক্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ দেবেনা বলে মেয়ের মা স্বপ্না বেগম আমাদের কাছে  মুছলেকা প্রদান করেন।

এবিএন/রিয়াজ রহমান/গালিব/জসিম