আজকের শিরোনাম :

স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই: ভোলায় যাত্রীবাহী লঞ্চে উপচেপড়া ভিড়

  ইউএনবি

০২ জুন ২০২০, ১৯:৪৬ | অনলাইন সংস্করণ

স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চলাচলের কথা থাকলেও ভোলা থেকে বিভিন্ন নৌ রুটে চলাচল করা লঞ্চে তা মানা হচ্ছে না। লকডাউন শেষে পুনরায় লঞ্চ চালুর পর থেকে প্রতিদিনই অসংখ্য যাত্রী নিয়ে হুড়োহুড়ি ও চাপাচাপি করে লঞ্চে যাত্রী তোলা হচ্ছে। এতে করে করোনাভাইরাসের মারাত্মক ঝুঁকি থাকলেও এসব লঞ্চের বিরুদ্ধে এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গত ২ মাসের বেশী সময় ধরে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকার পর ৩১ মে থেকে ফের চলাচল শুরু হলে মঙ্গলবার ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটে এ দৃশ্য দেখা গেছে।

বিআইডব্লিউটিএ জানায়, সাগর ও নদী বেষ্টিত দ্বীপ জেলা ভোলা থেকে ঢাকা চট্টগ্রামসহ অন্য জেলায় যাতায়াতের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হচ্ছে নৌযান। প্রতিদিন ভোলা থেকে ঢাকা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন নৌ রুটে প্রায় অর্ধশত ছোট বড় লঞ্চ ও সি-ট্রাক চলাচল করে।

কিন্তু পুনরায় লঞ্চ চালুর পর থেকে অধিকাংশ রুটেই স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। বিশেষ করে ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌরুটে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই দেখা যাচ্ছে না।

মঙ্গলবার সকালে ভোলা ইলিশা লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, এমভি পারিজাত লঞ্চ ও এসটি খিজির-৫ নামক সি ট্রাক ঘাটে আসা মাত্রই হুড়োহুড়ি করে গা ঘেষেই লঞ্চে উঠে। কার আগে কে লঞ্চে উঠবে তার প্রতিযোগিতা। পরিস্থিতি এমন যে পিপীলিকার মতো যাত্রীরা লঞ্চে উঠছে। কোথাও তিল ধারণেরও ঠাঁই নেই। তার পরও মানুষ উঠছে। ছাদে পর্যন্ত অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে পারাপার করা হয়। অনেকে সিট না পেয়ে লঞ্চের বারান্দায় দাঁড়িয়ে পর্যন্ত গন্তব্যে যাচ্ছেন। অনেকে লঞ্চে যেতে না পেরে চরম ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে পর্যন্ত যাত্রী পারাপার করছেন।

যাত্রীদের অভিযোগ, লঞ্চ কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। ঢাকাগামী লঞ্চ অ্যাডভেঞ্চারের পাশাপাশি সিটে বসে যাত্রী পারাপার করতে দেখা যায়।  আবার অনেক যাত্রীও স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই লঞ্চে চলাচল করছে। এতে করে অন্য যাত্রীদের মধ্যে রয়েছে আতংক।

যাত্রীদের দাবি, স্বাস্থ্যবিধি না মানলেও লঞ্চ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ভোলায় বিআউডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। এমনকি সরকারি নৌ যান সি-ট্রাকে পর্যন্ত অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করছে।

যাত্রীরা বলেন, ভোলার ইলিশা থেকে ঢাকা ও বন্দর নগরী চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে। কিন্তু মানুষের তুলনায় লঞ্চ, সি ট্রাক ও ফেরি কম। তাই বাধ্য হয়ে অনেকই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে। অনেকে লঞ্চ না পেয়ে ট্রালারেও যাচ্ছে। এছাড়া এসময় লঞ্চঘাটে যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ও করছে অনেকে।

বিআইডব্লিউটিএ ভোলা নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান জানান, লঞ্চগুলোকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পরিবহন করতে হবে। কেউ তা না মানলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, যাত্রীদের চাপের কারণে তারা ভোলা খেয়াঘাট থেকে সন্ধ্যার লঞ্চ বেলা ১২টা থেকে দেড়টার মধ্যে ছেড়ে দেন।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ