আজকের শিরোনাম :

সিরাজগঞ্জে অসময়ে যমুনার পানি বৃদ্ধি, বাঁধ ভেঙ্গে ফসলের ক্ষতি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২০, ১২:৩৯

সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। অসময়ে যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নন্দলালপুর নিমাইগাড়ি এলাকায় বাঁধ ভেঙ্গে গেছে এবং শিমলা ২ নং স্পার বাঁধে ধস নেমেছে। এ ভাঙ্গন ও ধস ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিচ্ছে। সেইসাথে যমুনা নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গনও অব্যাহত রয়েছে। নদীর তীরবর্তী এলাকার নি¤œাঞ্চলের বিভিন্ন ফসল তলিয়ে গেছে। এক সপ্তাহে যমুনা নদীতে প্রায় ১৩ ফিট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী একেএম রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, অসময়ে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় শনিবার সকালে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ওই স্পারের প্রায় ৩০ মিটার ধস নেমেছে।

এছাড়া রোববার সকালে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার নন্দলালপুর নিমাইগাড়ি এলাকায় বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। এতে বাঁধের ভাটি অঞ্চলের ইরি বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসল ডুবে গেছে। তবে কৃষকরা আধা পাকা এই ধান কাটতে শুরু করেছে।

স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে এ ধান কেটে ঘরে তোলা সম্ভব হবে না। এ ধস ঠেকাতে সেখানে জিও ব্যাগ নিক্ষেপ করা হচ্ছে।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ওই বাঁধ ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং ভাঙ্গন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে।

প্রায় দেড় সপ্তাহ আগে উজানের পাহাড়ী ঢল ও দফায় দফায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সিরাজগঞ্জের কাছে যমুনা নদীর পানি বাড়তে থাকে। এক সপ্তাহে প্রায় ১৩ ফিট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে এই যমুনা নদীতে। বিগত ২০/২৫ বছরের মধ্যে অসময়ে যমুনা নদীতে এতো পানি বাড়েনি। তবে ২/১ দিনের মধ্যে এ পানি হ্রাস পেতে পারে।

ইতিমধ্যেই কাজিপুরের পাটাগ্রাম, এয়ায়েতপুর ও শাহজাদপুরে এই ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে।

এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ হাবিবুল হক বলেন, সপ্তাহ ধরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিশেষ করে যমুনা নদীর তীরবর্তী চৌহালী, বেলকুচি, কাজিপুর, শাহজাদপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নি¤œাঞ্চলের প্রায় ৬৫ হেক্টর জমির ইরি বোরো ধান, আঁখ, পাট, তিলসহ বিভিন্ন ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

এ পানি নেমে গেলে অনান্য ফসলের তেমন ক্ষতি না হলেও ইরি বোরো ধানের কিছুটা ক্ষতি হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এবিএন/এস,এম তফিজ উদ্দিন/গালিব/জসিম

 

 

এই বিভাগের আরো সংবাদ