আজকের শিরোনাম :

৮ ফুট উচ্চতা নিয়ে বিপাকে সুবোল

  ইউএনবি

৩০ মে ২০২০, ১৮:১৩ | অনলাইন সংস্করণ

নাম সুবোল আলী। বয়স মাত্র ২২ বছর। অথচ এই বয়সেই সুবোলের উচ্চতা ৮ ফুট। তবে ব্রেন টিউমার ছাড়াও নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন তিনি।

আট ফুট উচ্চতার বিস্ময় বালক সুবোলের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রিফায়েতপুর ইউনিয়নের সংগ্রামপুর গ্রামে।

শারীরিক সমস্যার কারণে ঠিকমত চলাফেরা করতে পারেন না সুবোল। চলতে হয় লাঠিতে ভর দিয়ে। দিনের পর দিন সুবোলের উচ্চতা যেন বেড়েই চলেছে। কিন্তু দরিদ্র কৃষক পিতার আর্থিক সামর্থ না থাকায় সুবোলের সঠিক চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই ছেলের উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারি সহায়তার অনুরোধ জানিয়েছেন সুবোলের অসহায় পিতা ইউনুস আলী।

সুবোলের পিতা ইউনুস আলী জানান, ১৩ বছর পর্যন্ত সুবোলের উচ্চতা স্বাভাবিকই ছিল। অন্য সবার মতো সুবোল স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে উঠছিল। কিন্তু বয়স ১৩ বছর পার হতেই তার উচ্চতা অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে। ২২ বছর যেতে না যেতেই এখন তার উচ্চতা প্রায় ৮ ফুট। শারীরিক এই সমস্যার কারণে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর আর স্কুলেও যেতে পারেননি

ইউনুস আলী বলেন, নিজের ও তার স্ত্রীর উচ্চতা স্বাভাবিক। সুবোলের এক ভাই ও এক বোনের উচ্চতাও স্বাভাবিক। কিন্তু সুবোল এতটাই লম্বা যে লাঠি ভর দিয়ে ছাড়া চলাফেরা করতে পারে না।

সুবোল জানান, তিনি লাঠি ভর দেয়া ছাড়া বেশি সময় দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন না। চলাফেরাও করতে হয় লাঠিতে ভর দিয়ে। দিনদিন তার পা ফুলে যাচ্ছে। এছাড়া শরীরের নানা স্থানে ফোলা রোগ দেখা দিয়েছে। ভুগছেন ব্রেন টিউমার জনিত সমস্যায়।

সুবোলের পরিবার জানায়, অতিরিক্ত লম্বা হতে শুরু করলে তাকে রাজশাহীসহ জেলা শহরে ডাক্তার দেখানো হয়েছে। হরমনের সমস্যার কারণে সুবোলের উচ্চতা দিন দিন বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে টাকার অভাবে উন্নত চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য বর্তমানে তার চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে।

এ অবস্থায় সুবোলের উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন তার পিতা ইউনুস আলী।

এদিকে সুবোলের উচ্চতার কারণে তাকে দেখতে প্রতিদিন দূর-দুরান্ত থেকে অনেক মানুষ ওই বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন।

রিফায়েতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামিরুল ইসলাম বাবু জানান, এর আগে প্রতিবেশীসহ আমরা অনেকেই কম-বেশি করে সুবোলের চিকিৎসার জন্য যতটুকু সম্ভব সাহায্য করেছি। কিন্তু সুবোলের বর্তমান যে শারীরিক অবস্থা তাতে চিকিৎসা বেশ ব্যয় বহুল, যা সুবোলের দরিদ্র পিতার পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। এ জন্য সমাজের সহৃদয় বিত্তবান ব্যক্তি বা সরকারি সহায়তা প্রয়োজন।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ