আজকের শিরোনাম :

আশাশুনিতে উপকূলীয় বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করলেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২০, ১২:৫৫

সুপার সাইক্লোন আম্ফানের তান্ডবে পাউবোর বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম।

গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি শ্যামনগর উপজেলার ভাঙ্গনকবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে আশাশুনি এলাকায় গমন করেন।

আশাশুনি এলাকার ভাঙ্গনকবলিত এলাকার ভয়াবহ চিত্র দেখে তিনি বলেন, প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসসহ বিভিন্ন দুর্যোগের সাথে মোকাবেলা করা এলাকার মানুষ খুবই কষ্টে আছেন। বেড়িবাঁধ সুরক্ষার জন্য সরকার আগে থেকেই কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে বেড়িবাঁধ প্রকল্পের কাজ কিছুটা পিছিয়ে গেছে। ৯শ’ কোটি টাকার ২টি ও ১২শ’ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। অতিদ্রুত সেগুলোর কাজ শুরু হবে। উপকূলীয় এলাকায় বেড়িবাঁধ টেকসই করা হবে। আগামী দু’তিন দিনের মধ্যে সেনাবাহিনী কাজ শুরু করবে।

এলাকাবাসীকে উদ্দেশ্য করে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, আপনারা যদি বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ না করেন তবে এই এলাকায় আগামীতে বসবাস করতে পারবেন না। বিভিন্ন সময় জলোচ্ছ্বাস হবে, ঝড় হবে। বাঁধ রক্ষা করা না গেলে এখানে আপনাদের বসবাস করা কঠিন হয়ে যাবে। সবকিছু ভেসে যাবে। সেজন্য বাঁধে গাছ লাগিয়ে বাঁধকে রক্ষা করতে হবে। সরকার আপনাদের সহযোগিতা করবে। উপকূলে বাঁধ সংস্কারের জন্য আমরা সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দিয়েছি। তারাই কাজ করবে। কিভাবে করবে সেটি তাদের ব্যাপার। সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা আমার সঙ্গে আছেন। তারা দেখছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যেই কাজ শুরু হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গত ১০ বছর ধরে যেভাবে নদীর বেড়িবাঁধ ভাঙ্গছে, এর আগে কিন্তু এটা হতোনা। বর্ষা মৌসুমে যাতে আর বেঁড়িবাধ না ভাঙ্গে সেভাবে প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।

আশাশুনি এলাকায় মন্ত্রীর পরিদর্শনকালে আশাশুনি উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএমডি মোস্তাকিম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা, শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল প্রমূখ জনপ্রতিনিধি উপস্থিত থেকে নদী ভাঙ্গনের সমস্যা তুলে ধরেন।

এ সময় তার সফর সঙ্গি ছিলেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি জগলুল হায়দার, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী রফিক উল্লাহ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল হোসেনসহ সেনাবাহিনীর কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

এবিএন/জি এম মুজিবুর রহমান/গালিব/জসিম

 

 

এই বিভাগের আরো সংবাদ