আম্ফানে ১৭০ স্থানে ৯৯ বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাতে খুলনার কয়রা, দাকোপ এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার আনুমানিক ১৭০টি স্থানে ৯৯টি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।

রবিবার রাজধানীর গ্রিনরোডে যৌথনদী কমিশনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ঘূর্ণিঝড় আম্ফান পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

সভার পর্যবেক্ষণে জানানো হয়, উপকূলাঞ্চলে ব্যাপকভাবে শস্যহানি হয়নি তবে প্রায় ১ লাখ লোক পানিবন্দি, যার মূল কারণ পানি নিষ্কাশন অব্যবস্থাপনা ও পুরাতন বাঁধ। এছাড়া খুলনার কয়রা, দাকোপ এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার আনুমানিক ১৭০ জায়গায় প্রায় ৯৯টি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বঙ্গোপসাগর থেকে উঠে আসা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পান গত ২১ মে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে। এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট জেলা। এর পর ২২ ও ২৩ মে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা পরিদর্শন করেন পানি সচিব কবির বিন আনোয়ার। পরিদর্শনকালে স্থানীয় প্রতিনিধি, জেলা প্রশাসন এবং মোতায়েনকৃত সেনাপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সভা করেন পানি সচিব জনাব কবির বিন আনোয়ার।

রবিবার ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ ও পুনর্বাসনের এই সভায় পানি সচিব তার সফর সম্পর্কে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এবং পানিসম্পদ উপমন্ত্রীর সামনে সফর বিস্তারিত উপস্থাপন করেন।

বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বাঁধ মেরামতের জরুরী কাজে সেনাবাহিনীর সহায়তা নেয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেন। সেলক্ষ্যে আগামী ৩০ মে'র মধ্যে সকল নির্বাহী প্রকৌশলীদের নিজ নিজ এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেন। পাশাপাশি পোল্ডারসমূহের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপন করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

আগামী ২৭ মে আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর এলাকা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণে যাচ্ছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। এর আগে গত ২২মে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হেলিকপ্টারযোগে পরিদর্শন করেন।

সভায় অন্যদের মধ্যে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, এবং পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এ এম আমিনুল হক, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন)মাহমুদুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি